আবার পুরনো পেশায় ফিরেছেন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুরা। সুন্দরবন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদী সংলগ্ন সূর্যমুখী খাল থেকে গতকাল ভোরে অস্ত্র, গুলিসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন চার বনদস্যু। এদের মধ্যে নতুন গড়ে ওঠা ফজলু বাহিনীর প্রধানও রয়েছেন। এ বাহিনীর প্রধান ফজলু শেখ ২০১৮ সালে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু শান্ত বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। গত বছরও ফজলু স্বাভাবিক জীবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত থেকে সহায়তা নিয়েছেন। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক গতকাল দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাগেরহাট ডিবি ও মোংলা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার বনদস্যুর সবার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়। এরা হলেন- রামপালের আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের আহাদ আলী শেখের ছেলে মো. ফজলু শেখ, ফজলু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড শিকিরডাঙ্গা গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে মজনু শেখ, পেড়িখারী গ্রামের জোনাব আলী মোড়লের ছেলে শাহাদাত মোড়ল ও জিগিরমোল্লা গ্রামের নজরুল শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি একনলা বন্দুক, সাত রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা, একটি হাতুড়ি, একটি লোহার পাইপ, চারটি টর্চলাইট, একটি ডিঙি নৌকাসহ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সম্প্রতি সুন্দরবনে কয়েকটি গ্রুপ দস্যুতা শুরু করেছে বলে পুলিশের কাছে খবর আছে।
এ বনদস্যুরা সুন্দরবনের পেশাজীবীদের জিম্মি করে মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করে আসছিলেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করা শান্ত বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ফজলু শেখের নিজের নামে বাহিনী গড়ে তোলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। গতকাল ভোররাতে ফজলু বাহিনীর অবস্থান শনাক্ত করে ডিবি পুলিশের ওসি সুরেশ চন্দ্র হালদার ও মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদী সংলগ্ন সূর্যমুখী খালে পরিচালনা করা হয় যৌথ অভিযান।