নাসিরনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ২৭-২৮ কেজি চাল। চাল বিতরণের সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে একজন ট্যাগ অফিসার থাকার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সঠিক ওজনের চাল দিচ্ছে না। উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ডিলাদের নাম মো. বদর আলম। তিনি উপজেলা ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্রদের খাদ্য সহায়তার জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ২৬ জন ডিলার ও ৮ হাজার ৭০৫ জন উকারভোগীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ফান্দাউক ইউনিয়নের ডিলার বদর উদ্দিনের মাধ্যমে ৩০৪ জনকে চাল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওই ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর এবং আতুকুরা গ্রামের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৩০৪ জনকে চাল দেওয়ার কথা। এ মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হয় চাল বিতরণ কাজ। শেষ হওয়ার কথা ৭ মার্চ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়ায় কয়েকজন চাল না নিয়ে বাড়িতে চলে যান। প্রতিবাদ করলে তাদের নাম কেটে দেওয়ার হবে বলেও হুমকি দেন। শিউলি বেগম ও মুর্শিদা বেগম জানান, ‘অশিক্ষিত মানুষ। মিটারের মাপ বুঝি না। বাড়িত চাল নিয়া দেহি তিন কেজি কম। বেশি কতা কইলে আগামীতে নাকি নাম কাইট্টা দিব।’ অভিযুক্ত ডিলার বদর আলম দাবি করে বলেন, সরকারি গুদাম থেকেই বস্তায় দুই-তিন কেজি চাল কম থাকে। তারপরও আমি বলছি ৩০ কেজি করেই চাল দেওয়ার জন্য। হয়তো লেবাররা ভুল করছে। ট্যাগ অফিসার ছাড়া চাল বিতরণের প্রসঙ্গে বলেন, সোমবার ট্যাগ অফিসার আসেনি। ট্যাগ অফিসার দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি। আমার দায়িত্ব হাসপাতালে। চাল বিতরণে অনিয়ম হলে সেটা আমার দেখার কথা না। ডিলার ও ট্যাগ অফিসারের দাবি অস্বীকার করে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য বলেন, চাল বিতরণের সময় নিশ্চই ট্যাগ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। গুদাম থেকে চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইউএনও ফকরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।