পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথের গাড়িচালক সম্রাট খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহতের বন্ধু আবদুল মমিনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেফতার আবদুল মমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার এসআই তহিদ হোসেন। শুনানি শেষে পাবনা আমলি আদালত-২-এর বিচারক শামসুজ্জামান এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার অন্য আসামি মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনের দুদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে ঢাকার হাতিরঝিল বাংলামোটর এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল আবদুল মমিনকে গ্রেফতার করে।
আর ২৪ মার্চ শেষ রাতে সীমা খাতুনকে আটক করে পুলিশ। ২৫ মার্চ সকালে পাবনার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ইউনিয়নের সাদীপুর ঘাট এলাকা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিমথ কোম্পানির প্রাডো জিপের ভিতর থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে। ২৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন সম্রাট হোসেন। এ ঘটনায় ২৫ মার্চ রাতে ঈশ্বরদী থানায় নিহতের পিতা আবু বক্কার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় সম্রাটের বন্ধু আবদুল মমিন তার স্ত্রী সীমা খাতুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়।
