গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সফিপুর মর্ডান পাবলিক স্কুলের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকে রেখে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ফরম ফিলাপ, কেন্দ্র ফি, যাতায়াত খরচ ও কোচিং ক্লাসের কথা বলে ১১ হাজার ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। ওই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি নেওয়া হয়েছে। প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেসব প্রতিষ্ঠানের যৌক্তিকভাবে টাকা নেওয়া উচিত। সফিপুর মর্ডান পাবলিক স্কুল থেকে এবার ১২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপ, কেন্দ্র ফি, যাতায়াত খরচ ও কোচিং ক্লাসের কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা করে নেয়।
গতকাল পরীক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন শুভ, রাজু আহম্মেদ প্রবেশপত্রের জন্য স্কুলে যায়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্র না দিয়ে তাদের আরও টাকা দিতে হবে বলে জানায়। কিসের টাকা জানতে চাইলে বলে তোমাদের টাকা বাকি আছে। অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় তাদের প্রবেশপত্র আটকিয়ে দেয়। পরীক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন শুভ বলেন, প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান আসমা বেগম ফরম ফিলাপ, কেন্দ্র ফি, যাতায়াত খরচ ও কোচিং ক্লাসের কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন। আমি ৯৫০০ টাকা দিয়েছি আরও ২ হাজার টাকা দিতে না পারায় আমাকে প্রবেশপত্র দিচ্ছে না। অন্য শিক্ষার্থী রাজু আহম্মেদ বলেন, ফরম ফিলাপ করতে সময় সব পাওয়ানা পারিশোধ করলেও প্রবেশপত্র আনতে গেলে তা টাকার জন্য আটকে দেয়। প্রবেশপত্র না পেলে পরীক্ষা দেব কেমন করে। এ বিষয়ে সফিপুর মর্ডান পাবলিক স্কুলের চেয়ারম্যান আসমা বেগম বলেন, অর্থের জন্য প্রবেশপত্র আটকে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়। তবে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর টাকা বাকি থাকায় তাদের প্রবেশপত্র এখনো দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ফরম ফিলাপ বাবদ অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়নি। কালিয়াকৈর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রবেশপত্র আটকে রাখার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।