শিরোনাম
সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাত-পা বাঁধা এক শিক্ষক ও নারীর লাশ উদ্ধার

পাশে পড়ে ছিল চিরকুট

রাজবাড়ী ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার সাভারের ভাটপাড়া মোড় এলাকায় নিজ বাসা থেকে সাবেক এক স্কুলশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির হাত-পা বাঁধা এবং গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। এ সময় লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকারীদের রেখে যাওয়া একটি চিরকুট। গতকাল সাভার পৌর এলাকার ভাটপাড়া মহল্লা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষকের নাম গোলাম কিবরিয়া (৪৫)। তিনি সাভারের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসার পর লাশের ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য পুলিশি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া সাভার ভাটপাড়ার মৃত শুকুর মুন্সীর ছেলে। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, কিবরিয়া সাভার রেডিও কলোনির মডেল স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে টিউশনি করতেন। পাশাপাশি তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে রাজবাড়ীর পাংশা থানার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রাম থেকে রুনা খাতুন (৩০) নামে এক নারীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী। নিহতের চাচাশ্বশুর আতাহার মন্ডল বলেন, শনিবার গভীর রাতে রুনার ছেলে হুসাইন (২) কান্না করতে থাকে। পরে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির পাশে রুনার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এর একদিন আগে বালিয়াকান্দিতে মিনু বেগম নামে এক নারী খুন হন। সিনিয়র পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, ‘রুনা বেগম হত্যার ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।  দুটি হত্যাকান্ড নিয়ে আমরা তদন্ত রেখেছি। আমরা মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছি। সেটি আরও বেগবান করা হবে।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে টিউশনি শেষে রিকশায় করে বাসায় ফেরেন গোলাম কিবরিয়া। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ভাইদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বাসার একটি কক্ষে একাই থাকতেন তিনি। গতকাল দুপুর ১২টার পরও কিবরিয়াকে কক্ষ থেকে বের হতে না দেখে পরিবারের সদস্যরা একই কক্ষের বিকল্প দরজা দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন, খাটের ওপর পড়ে আছে কিবরিয়ার লাশ। তার দুই হাত ও দুই পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল; গলায় ছিল গামছা প্যাঁচানো। এ ছাড়া ঘরের এবং স্টিলের আলমারির জিনিসপত্র এলোমেলো করা অবস্থায় দেখতে পান। লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা সাভার মডেল থানা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চিরকুটে গোলাম কিবরিয়াকে নৈতিক স্খলনের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গোলাম কিবরিয়ার ছোট ভাই আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পায়ে সমস্যা থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতেন না। তাই একটি নির্দিষ্ট রিকশাযোগে সব জায়গায় যাতায়াত করতেন। দুপুর ১২টার পরও ঘর থেকে বের না হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যরা কক্ষে ঢুকে ভাইয়ের লাশ দেখতে পান। ভাইকে কেন হত্যা করা হলো, তা এখনো আমরা জানি না।’

সর্বশেষ খবর