মানিকগঞ্জ শহরের অন্যতম ব্যস্ত গঙ্গাধর পট্টির রাস্তার সংস্কার কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে রিকশা, সাইকেল, হ্যালোবাইকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই রাস্তায় চলাচলকারীরা। একটু বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রাস্তার দুই পাশের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্তার কাজ শেষ না করায় আমাদের ব্যবসা একেবারেই বন্ধের উপক্রম হয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী নিলীমা ও সুজাতা বলেন, রাস্তার এমন অবস্থা, রিকশা তো দূরের কথা হেঁটেও চলাচল করা যায় না। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। মানিকগঞ্জ পৌর নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি সুলতানুল আজম খান আপেল বলেন, প্রতিটি কাজেই পৌরসভা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। বেউথা ব্রিজের উত্তর পাড় বছরের পর বছর চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। প্রতিদিন ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে কারও কোনো নজর নেই। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে গঙ্গাধর পট্টির রাস্তাটি দীর্ঘদিন এ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও কাজ কিছুই হয়নি। অসহনীয় কষ্ট করতে হচ্ছে এ রাস্তায় চলাচলকারীদের। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার দাবি জানালেন তিনিও। মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. তসলিম মিয়া বলেন, বেউথা স্লুইসগেট হতে সোনাকান্দ খাল পুনঃখনন ও ড্রেনেজ উন্নয়নে ২৮ কোটি টাকার কাজটি পান এ্যাপেক্স অ্যান্ড কামরুল ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সময়মতো কাজ শেষ না করার কারণে তাকে চূড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ্যাপেক্স অ্যান্ড কামরুল ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী লাভলু মিয়া বলেন, এ বছর জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণে বাড়ির স্যুয়ারেজের পাইপের কাজ করতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া ঈদ ও নির্বাচনের সময় কাজ বন্ধ থাকার কারণে সময়মতো কাজ শেষ হয়নি।