ঢাকার আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও এক সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনজনের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ভাদাইল এলাকায় নিজ ভবনের চতুর্থ তলা থেকে উদ্ধার করা হয় এম এ হাসান বাচ্চুর (৪৬) লাশ। তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩৩) ও মেয়ে জান্নাতিকে (৬) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তারা। ভর্তি আছেন বাচ্চুর ছেলে হিমেল (১৮)। স্থানীয় রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, বাচ্চু মিয়া এনজিও ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি এর আগেও বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রী তাকে ফেলে চলে গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় ঘরে তার ছয় বছর বয়সি কন্যাসন্তান ছিল। বুধবার রাতে তাদের ঝগড়া হয়। গতকাল সকালে ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। তারা বাচ্চু মিয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার স্ত্রী ও সন্তান তখনো বেঁচে ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তারা। বাচ্চুর পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। প্রতিবেশী ফরিদা বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে বাচ্চুর স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে এসে দরজা লাগিয়ে দেন। দুপুরে ছেলে হিমেলের চিৎকার শুনে চারতলা থেকে দগ্ধ অবস্থায় স্বপ্না, জান্নাতি ও হিমেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক স্বপ্না ও জান্নাতিকে মৃত ঘোষণা করেন। হিমেলকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। বাচ্চুকে মৃত অবস্থায় ফ্ল্যাটের ভিতর পাওয়া যায়। বাচ্চুর বোন হেনা বেগম বলেন, বর্তমান স্ত্রী ছিল বাচ্চুর তৃতীয় বিয়ের। প্রথম স্ত্রী অনেক আগে চলে গেছে। হিমেল হচ্ছে সেই প্রথম স্ত্রীর ছেলে। দ্বিতীয় স্ত্রী মীমাংসা করে আলাদা হয়ে গেছে। সে ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তদন্তের পর জানা যাবে।