যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে তৈরি হয়েছে সার্ভার জটিলতা। সোমবার সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোলের সঙ্গে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্যে এসেছে স্থবিরতা। পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে না পারায় ওই এলাকায় ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়েছে। শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহতের পাশাপাশি ট্রাক আটকে থাকায় লোকসানে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সকাল থেকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ইন্টারনেট সার্ভার মাঝে মাঝে সচল হলেও ধীরগতির কারণে দুই দেশের মধ্যে ১০০-এর মতো পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করেছে। সার্ভার স্বাভাবিক থাকলে একই সময় ১ হাজারের বেশি ট্রাক দুই বন্দরে যাতায়াত করে। বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী প্রোগ্রামার আবদুল আহাদ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সার্ভার আপডেটের কাজ চলছে। ফলে সার্ভার সচল থাকলেও গতি খুব কম। দু-এক দিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছর এ বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকা রপ্তানি বাণিজ্য হয়। বছরে বেনাপোল বন্দর থেকে রাজস্ব আসে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ভারত থেকে আমদানি পণ্যের বড় একটি অংশ কল-কারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও শিশুখাদ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট, পাটজাত দ্রব্য ও মাছসহ বিভিন্ন পণ্য।