বিশ্বনাথে চুরি-ছিনতাই আতঙ্কে ভুগছে সাধারণ মানুষ। দুই মাসে অর্ধশত চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এ উপজেলায়। সম্প্রতি ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। এদিকে চুরি ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় এসব ঘটছে। পুলিশ বলছে, তারা ছিনতাই ও চোরের উপদ্রব প্রতিরোধে সচেষ্ট রয়েছেন। এ ধরনের ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া দূরহ হয়ে পড়ে। বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশন অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘চুরি-ছিনতাই রোধ ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ সব সময় তৎপর। এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, গত দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের গবাদি পশু, বসতবাড়ির নলকূপ, ব্যাটারিচালিত টমটম, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, মসজিদের এসি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিরিজ চুরি হয়েছে ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ওয়াশব্লক, ফ্যান, নলকূপ, মোটর খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।
গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান নিপেশ তালুকদার (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী। পাঁচপীরের বাজার এলাকায় রাস্তায় তাকে ছুরি মেরে সর্বস্ব লুটে নেয় ছিনতাইকারীরা। গবাদি পশু চুরি হয়েছে পাঁচ কৃষকের। বাউসী গ্রাম থেকে চুরি হয় ব্যাটারিচালিত টমটম। সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধানকে থানায় জিডি করতে বলা হয়েছে।