অব্যাহত ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফে অন্তত ৫০ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ৩ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সেন্টমার্টিন, হ্নীলা, সাবরাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হলেও গতকাল সকাল থেকে মাত্রা বেড়ে গেছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দা। মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। গতকাল সকাল থেকে অনেক পরিবার চুলোয় আগুন জ্বালাতে পারেনি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি পৌরসভার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের মধ্যে তিনবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন বাজার কমিটির সভাপতি হাবিব খান জানিয়েছেন, সাগর উত্তাল ও জোয়ারের কারণে দ্বীপের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে দ্বীপের ভিতর চলাচলের রাস্তার পাশে বা বিভিন্ন জায়গা থেকে দ্রুত পানি চলে যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। টেকনাফ পৌরসভাসংলগ্ন কলেজপাড়ার অধিকাংশ বসতবাড়ি, শীলবনিয়া পাড়া, ডেইলপাড়া, জালিয়াপাড়া, অলিয়াবাদ, খানকারডেইল, চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়ার প্রায় অংশ পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া টেকনাফ সরকারি কলেজ, আইডিয়াল উচ্চবিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুরো প্রাঙ্গণ পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। জনপ্রতিনিধি বশির আহমেদ বলেন, ভারী বৃষ্টিতে অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।