কবরের পাশে কোরআন তেলাওয়াত করলে কবরে আজাব কম হবে- পীরের এমন নির্দেশনা থেকে ৯৮ বছর ধরে ২৪ ঘণ্টা কোরআন তেলাওয়াত চলছে কবরের পাশে। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ৭০০ বছরের পুরোনো নওয়াব শাহি জামে মসজিদের সামনে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর কবরের পাশে এ তেলাওয়াত চলছে। মসজিদের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে রয়েছে নওয়াব পরিবারের সবার কবর। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় ব্যতীত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়েও থেমে থাকেনি কোরআন তেলাওয়াত। পাঁচজন হাফেজ পালাক্রমে চালিয়ে যাচ্ছেন এ কার্যক্রম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন মসজিদটি দেখতে। পীরের নির্দেশনায় কবরের আজাব থেকে মুক্তি পেতে ১৯২৭ সালে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী এ মসজিদে সার্বক্ষণিক কোরআন তেলাওয়াত করার ব্যবস্থা করেন। ১৯২৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। মসজিদের একপাশে মিনারের মধ্যে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পরও কবরের পাশেই চলমান রয়েছে কোরআন তেলাওয়াত। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হচ্ছে, নামাজের সময় ছাড়া এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয় না কোরআন তেলাওয়াত। মসজিদের পাশেই রয়েছে শান বাঁধানো ঘাট ও কবরস্থান। ওয়াক্ফকৃত সম্পদের আয় দিয়ে মসজিদ, পার্শ্ববর্তী মাদরাসা ও ঈদগাহ পরিচালিত হয়। প্রতিদিনই দূরদূরান্ত দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় মসজিদ ও কোরআন তেলাওয়াত দেখতে। হাফেজ ফারুক আহম্মেদ জানান, ওস্তাদের নির্দেশনায় কবরের আজাব থেকে মুক্তি পেতে ১৯২৭ সালে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী এ মসজিদে সার্বক্ষণিক কোরআন তেলাওয়াত করার ব্যবস্থা করেন। গত ৯৮ বছরে এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত।