পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় নির্বাচনী সংহিসতায় সামসুল হক ছট্টু (৩০) নামের এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। জাহাঙ্গির শেখ নামে আরেকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়া পথে তিনি মারা যান। এর আগে রাত ৮টার দিকে তাদের দু'জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত শামসুল নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক বলে জানা গেছে। তার বাড়ি উপজেলার শেখ মাটিয়া ইউনিয়নে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে শেখ মাটিয়া ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনা শেষে রাত ৮টার দিকে সামসুল হক ছট্টু ও বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গীর শেখ মোটরসাইকেলে প্রার্থীর বাড়ি যাচ্ছিল। পথে ওঁৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ২ জনকে জখম করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ও পরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে তাদেরকে খুলনা নেবার পথে রাত ১২টার দিকে মারা যায় সামসুল হক ছট্টু।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, রাতে ছট্টু ও জাহাঙ্গীর দলীয় প্রার্থীর প্রচারণা শেষে তার বাড়ি যাওয়ার পথে নৌকার মার্কার সমর্থকরা তাদের কুপিয়ে ফেলে রাখে। তাদের উদ্ধার করে খুলনা নেয়ার পথে ছট্টু মারা যায়। চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গির শেখের অবস্থাও আশংকাজনক।
তিনি আরও জানান, কয়েকদিন ধরে নৌকা মার্কার কর্মীরা এদের ও অন্য প্রচারণায় অংশ নেওয়া বিএনপি নেতা কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছে। তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। গত সপ্তাহে এদের হামলায় শেখ মাটিয়া ইউনিয়নে ৫ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব