বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা চিকিৎসায় গৃহবধূ ইয়াসমিন বেগমের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দারোয়ান নুরুজ্জামানকে মারধর করে। এ ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম সফিউদ্দিনের কাছে অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মৃত ইয়াসমিন মুলাদী শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী উপজেলার ভোঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক মালয়েশিয়া প্রবাসী।
মৃতের বড় ভাই হারুন-অর রশিদ জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ইয়াসমিন। তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কলাপসিবেল গেট তালা লাগানো থাকায় প্রায় এক ঘন্টা ডাকাডাকির পর গেট খুলে দেয় দারোয়ান। এ সময় উত্তেজিত লোকজন দারোয়ান মনিরুজ্জামানকে মারধর করে। এরপর ইয়াসমিনকে জরুরি বিভাগে নেয়া হলে সেখানকার দরজায়ও তালা ঝোলানো ছিল। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোলায়মান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুপস্থিত ছিলেন। তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। কোন চিকিৎসক না পেয়ে ওই রাতেই ইউএনও’কে ডেকে আনেন রোগীর স্বজনরা। ইউএনও আতাহার মিয়া মুঠোফোনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেক চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামালকে ডেকে আনেন। মোস্তফা কামাল রোগীর ইসিজি করার পরামর্শ দিয়ে সটকে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরই ইয়াসমিন মারা যায়।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাহার মিয়া জানান, বিষয়টি সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সিভিল সার্জন ডা. এএফএম সফিউদ্দিন জানান, অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও দারোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার