কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪নং ওয়ার্ড রৌমারী এবং ১৫নং ওয়ার্ড রাজীবপুরের সদস্যপদের পরাজিত প্রার্থীরা টাকা ফেরত নিচ্ছেন। ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রৌমারী উপজেলার কর্তিমারী বাজার ঘুরে ভোটারদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নিতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় প্রার্থীকে বলছে ‘ভোট দিবি না, তো টাকা নিলি ক্যান।’ এর উত্তরে ভোটাররাও বলছে ‘টাকা নিবেন তো নিবেন, গালি দেন ক্যান।’
১৫ নং ওয়ার্ড সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মালেক। তিনি রৌমারীর যাদুরচর মডেল কলেজের প্রভাষক। নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল টিউবয়েল। তিনি বেশ কিছু ভোটারকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের ইউনিয়নে প্রতি ভোটারকে ১৩ হাজার করে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে ভোট দেয়নি। এতবড় মোনাফেকী কেউ করে?’ তবে যাদুরচর ইউনিয়নের আবু সামা নামের এক ওয়ার্ড বলেন, ‘উনি তো ১৩ হাজার টাকার কথা বলছে। আসলে কিছু কম আছে। কিন্তু আমি তো ভোট দিয়েছি। তারপরও আমার নিকট টাকা চাচ্ছে। এনিয়ে বাজারে প্রকাশ্যে অপমান করেছে আমাকে।’
সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ড সদস্যপদে মাহমুদা আক্তার স্মৃতি মাইক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে গেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি ইউনিয়নে ৬০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। ভোটও পেয়েছি বেশ। কিন্তু নির্বাচিত হতে পারলাম না। এর কারণ আমার নিজের ইউনিয়নের লোকজনই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা টাকা নিয়েছে তারাও আমার সঙ্গে বেঈমানি করেছে।’
এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকার খেলটা প্রকাশ্যেই হয়েছে। ভোটপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন প্রার্থীরা। টাকা নিয়ে নিরীহগোচের ভোটাররা কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টদের সিল মারা ব্যালট দেখিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ