রাজাকারপুত্র সৈয়দ বাহিনীর হুমকিতে প্রায় এক বছর গ্রাম ছাড়া উল্লাপাড়ার খাদুলী গ্রামের ৪৫টি আওয়ামী লীগ পরিবার। তাদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। তদন্ত শেষে দুই কর্মকর্তা পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তা জমা দিয়েছেন।
একই ঘটনায় পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন হওয়ায় ৪৫টি ভুক্তভোগী পরিবারসহ অনেকে পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শাহজাদপুর সার্কেল এএসপি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলেও অভিযোগ রয়েছে উল্লাপাড়ার থানার ওসি রাজাকারের ছেলে সৈয়দ আলীর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নান্নু মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, সার্কেল এ.এসপি আবুল হাসনাত নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিলেও উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কৌশিক আহমেদ অর্থের বিনিময়ে পক্ষালম্বন করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, তদন্ত প্রতিবেদনগুলো পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যে কারণে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না। তবে যেহেতু জমিজমা নিয়ে বিরোধ সেক্ষেত্রে পুলিশ নয় সিভিল প্রশাসন এটি নিরসন করতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা