শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫ আপডেট: ০১:৪০, শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

পঞ্চপাণ্ডবে ধ্বংস বিদ্যুৎ খাত

সবকিছু চলত তিন গডফাদারের ইশারায়
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
পঞ্চপাণ্ডবে ধ্বংস বিদ্যুৎ খাত

বিদ্যুৎ খাতে তাঁরা পরিচিত ছিলেন পঞ্চপাণ্ডব নামে। এ পাঁচজনই ছিলেন বিদ্যুৎ খাতের সব টাকাপয়সার মূল নিয়ন্ত্রক। কোনো প্রকল্প গ্রহণ, কারও পদায়ন বা বিদ্যুৎসংক্রান্ত যে কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন এ পঞ্চপাণ্ডব। তাঁরাই চালিয়েছিলেন দেশের বিদ্যুৎ খাত। লুটেছেন বিপুল পরিমাণ টাকা।

এ পঞ্চপাণ্ডবের আবার তিনজন গডফাদার ছিলেন। যে গডফাদারদের কমিশন দিয়ে তাঁরা ছিলেন জবাবদিহির ঊর্ধ্বে। বিদ্যুৎ খাতে এ পঞ্চপাণ্ডব হলেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ খান বিপু, শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এসডিজিবিষয়ক সমন্বয়ক এবং সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সামিট গ্রুপের আজিজ খান এবং এস আলম। এ পাঁচজনই বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত সর্বনাশের হোতা। বিদ্যুৎ খাতে যা কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সবই করা হয়েছে তাঁদের লুণ্ঠনের জন্য। বিদ্যুতে যেখানেই তাঁরা লুণ্ঠনের সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই লুটেপুটে খেয়েছেন। বিদ্যুতের স্বয়ংসম্পূর্ণতার ঢোল বাজিয়ে আসলে বিদ্যুৎ খাতের বারোটা বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ পাঁচজনের তিনজন গডফাদার ছিলেন। যাঁদের কমিশন দিয়ে বিদ্যুৎ খাতে নির্বিচার লুণ্ঠন করতে পেরেছিল পতিত স্বৈরাচার সরকার। এ তিনজন মাফিয়া হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। তবে এ তিন গডফাদার ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অপত্য ছত্রছায়ায়। বিদ্যুৎ খাতের এ লুণ্ঠনের চিত্র এতই ভয়ংকর এবং এত বড় সর্বনাশের যে এখন পর্যন্ত তার পুরো কাহিনি বা ইতিহাস কেউ উদ্ধার করতে পারেনি। তবে এখন পর্যন্ত যেসব হিসাব পাওয়া যাচ্ছে তা শুধু দেশের স্বার্থবিরোধী নয়, রীতিমতো আতঙ্কের। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লুণ্ঠন হয়েছে মূলত পাঁচটি ক্ষেত্রে। প্রথমত কুইক রেন্টাল, দ্বিতীয়ত বিদ্যুৎ খাতে ভারতনির্ভরতা, তৃতীয়ত উৎপাদন ও বিতরণে লুটপাট, চতুর্থত রূপপুর কেলেঙ্কারি এবং পঞ্চমত এলএনজি কেলেঙ্কারি।

দুর্নীতি-১ : কুইক রেন্টাল

সাড়ে ১৫ বছরে কোনো দরপত্র ছাড়াই বেসরকারি খাতে শতাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কোনো কাজে আসেনি। সরকারি হিসাবে উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বলা হলেও লোডশেডিং থেকে মুক্তি মেলেনি। এমনকি দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা কত, তারও সঠিক কোনো হিসাব নেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে।

প্রাপ্ত হিসাবে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে মোট ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। বর্তমান বিনিময় হার বিবেচনায় (১ ডলার সমান ১১৮ টাকা) বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। একই সময় শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামেই লুটপাট হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে শুধু সক্ষমতা দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে গেছে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। এসব কেন্দ্রের বেশির ভাগের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। এ ক্যাপাসিটি চার্জ লুণ্ঠনের আবিষ্কারক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন আমলা আবুল কালাম আজাদ। কুইক রেন্টাল মানেই কুইক মানি। এ আবিষ্কারের মাধ্যমেই শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হন আজাদ। তাঁকে বিদ্যুৎ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর আগ্রহেই করা হয় দায়মুক্তির আইন। অর্থাৎ কোনো লুটের বিচার হবে না। করা যাবে না কোনো প্রশ্ন। আবুল কালাম আজাদকে কমিশন দিলেই মিলত কুইক রেন্টালের অনুমতি। আওয়ামী লীগের নেতা, পাতিনেতা, অনুগত ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন কুইক রেন্টালের লাইসেন্স। এমনকি আসবাবপত্র নির্মাণপ্রতিষ্ঠান অটবিকেও দেওয়া হয় বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি। জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ওমর ফারুক চৌধুরী, আলাউদ্দিন নাছিম চৌধুরী, প্রয়াত আসলাম উল হকসহ আওয়ামী লীগের ৬৩ জন নেতা-কর্মী কুইক রেন্টাল স্থাপনের অনুমতি পান। অনুমতি পেয়েই কোটি কোটি টাকা দিয়ে তাঁরা কাগজ বিক্রি করে দেন। প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তিন থেকে চারবার হাতবদল হয়েছে। একই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রি হয়েছে একাধিকবার। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে দেওয়া হয় একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইন্সেস। ৫ কোটি টাকায় তিনি তা বিক্রি করেন আসলাম হকের কাছে। আসলাম হক আবার এটি বিক্রি করেন সিকদার গ্রুপের কাছে। নসরুল হামিদের ছোট ভাই ইন্তেখাবুল হামিদ অপু পান দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ ছাড়া শরীয়তপুরের সাবেক এমপি নাহিম রাজ্জাক, বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) সাবেক পরিচালক জালাল ইউনুস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ছোট ভাই আবদুস সালাম, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, টাঙ্গাইলের সাবেক এমপি তানভীর হাসান (ছোট মনির), সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুর রহমান, সিলেটের হাবিবুর রহমান এমপি ও রাজশাহী অঞ্চলের এমপি এনামূল হক প্রত্যেকে একটি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পান। কুইক রেন্টালের নামে চিরস্থায়ী লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয় আইন করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলুক না চলুক, সরকারকে নিয়মিত দিতে হবে ক্যাপাসিটি চার্জ। এ লুটের টাকা তিন ভাগ হয়েছে। বড় অংশ নিয়েছেন তিন গডফাদার। তারপর পঞ্চপাণ্ডব আর বাকিটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ১৫ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে। বিশেষ আইনের কারণে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা হয়নি। বিশেষ করে এ খাতে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৮-০৯ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে ১৪ বছরে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৮৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। গত জুলাইয়ে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ১৪ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে সরকার ৯০ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে। পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাব যোগ করলে তা ১ লাখ কোটি টাকার বেশি হবে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে ওই সময়ে সরকার পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম সামিটকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে দিয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা, যা মোট ব্যয়ের প্রায় ১২ শতাংশ। সামিটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। জয়ের কারণেই বিদ্যুৎ খাতে ডন হয়ে ওঠে সামিট গ্রুপ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল। কোম্পানিটিকে দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল আসলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে লুট করে। এগ্রিকোর লুটের বেশির ভাগ টাকা পেতেন ববি। এগ্রিকোর বাংলাদেশে ছায়া এজেন্ট ছিলেন এস আলম। ৭ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে চীনা কোম্পানি এরদা পাওয়ার হোল্ডিংস। এরদা পাওয়ারের বাংলাদেশে অঘোষিত এজেন্ট ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। চতুর্থ স্থানে থাকা দেশি কোম্পানি ইউনাইটেড গ্রুপকে দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। পঞ্চম স্থানে থাকা রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে (আরপিসিএল) দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বাংলা ক্যাট গ্রুপ নিয়েছে ৫ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। মাত্র তিন বছর আগে উৎপাদন শুরু হওয়া বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে গড়ে ওঠা পায়রা কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র পেয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। অন্য একটি গ্রুপকে ৪ হাজার ৫২৫ কোটি এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানিকে (কেপিসিএল) ৪ হাজার ৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সামিট গ্রুপ ও ৩৫ শতাংশ ইউনাইটেড গ্রুপের কাছে। বাকি ৩০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। ফলে খুলনা পাওয়ারের ক্যাপাসিটি চার্জের বড় অংশই গেছে সামিট ও ইউনাইটেডের কাছে।

দুর্নীতি-২ : বিদ্যুৎ খাতে ভারতনির্ভরতা, ঝুঁকিতে নিরাপত্তা

গত সাড়ে ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে স্বনির্ভরতার বদলে ভারতনির্ভরতা ছিল লক্ষণীয়। আদানি ও রিলায়েন্সের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির প্রধান কারণ ছিল গডফাদারদের কমিশন। আর এ কমিশনের টাকা পেতেন শেখ রেহানা। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে গিয়ে গত ৯ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ১৫ কোটি টাকা। দেশটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে। সে বছর ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল প্রায় ৫০১ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছর আমদানি বাড়ায় ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়ে দাঁড়ায় ৯২২ কোটি টাকায়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৮ কোটি টাকায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদ্যুৎ আমদানি কিছুটা বাড়ে সঙ্গে ক্যাপাসিটি চার্জও। ওই অর্থবছর ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয় ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি আরও বৃদ্ধিতে চুক্তি হয়। এতে ক্যাপাসিটি চার্জ এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৮০৫ কোটি এবং ২০২১-২২ অর্থবছর ১ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছর মিলে আমদানির বিপরীতে ৪ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে।

দুর্নীতি-৩ : উৎপাদন ও বিতরণে লুটপাট

বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বিতরণ ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হয়েছে। মিটার কেনাকাটা হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য সারা দেশে বিদ্যুৎসুবিধা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন গ্যাস ক্ষেত্রে কূপ খননের নামে বাড়তি টাকায় প্রকল্প করা হয়েছে। এসবের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। ২০টি কূপের খননকাজ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি গাজপ্রমকে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ২ কোটি ডলারের বেশি দামে। অথচ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এটি ১ কোটি ডলারে করতে পারে। যথাযথভাবে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে, অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগও তুলেছে সরকার কর্তৃক গঠিত দুর্নীতির শ্বেতপত্র। তাদের প্রতিবেদন বলছে, একই গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতার নামে দরপত্র ডেকে কাজ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে সাবকন্ট্রাক্ট (কাজ পাওয়া ঠিকাদার নিজে কাজ না করে ছোট ঠিকাদারকে দিয়ে করায়) হিসেবে। এ লুটলাটের টাকার বেশির ভাগ নিতেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বিপুর কিছু টাকা ব্যয় হতো ববির সিআরআই পরিচালনার জন্য।

দুর্নীতি-৪ : রূপপুর কেলেঙ্কারি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের (৫৯ হাজার কোটি টাকা) বেশি আত্মসাৎ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কাজে সহায়তা করেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। গত ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান রোসাটমের কাছ থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কিনতে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার।

মালয়েশিয়ার ব্যাংকে রক্ষিত বিভিন্ন রাশিয়ান স্ল্যাশ ফান্ড থেকে এ ৫ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছিল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম; যাতে মধ্যস্ততা করেন সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম।

নিজের ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প বলছে, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তাঁর মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাঁদের।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প বলছে, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাঁদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন আরও বলছে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে গণতন্ত্র ক্রমেই দুর্নীতিতে জর্জরিত স্বৈরাচারের কবলে পড়ে জিম্মি হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জার্মান থিঙ্কট্যাঙ্ক বেরটেলসম্যান স্টিফটুং বাংলাদেশকে স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠীর তালিকায় তালিকাভুক্ত করে। স্বৈরাচার শাসকদের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিছক হাতের পুতুল হয়ে যায়।

দুর্নীতি-৫ : এলএনজি কেলেঙ্কারি

গ্যাসসংকটের কারণে সরকার দীর্ঘদিন গ্যাসসংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখলেও বিশেষ বিবেচনায় শিল্পে কিছু সংযোগ দেওয়া হয়। সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী ছিলেন এ-সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের কমিটিপ্রধান। এ কমিটির বিরুদ্ধে গ্যাসসংযোগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জ্বালানির নানান কার্যক্রম নিয়ে সাবেক এ উপদেষ্টার সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নসরুল হামিদের মতবিরোধ ছিল ওপেন সিক্রেট।

নসরুল হামিদের ছোট ভাই ইন্তেখাবুল হামিদ অপু, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এক ভাতিজা ও কেরানীগঞ্জের শাহীন চেয়ারম্যান মিলে গড়ে তুলেছিলেন একটি সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট দেশিবিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে জোট করে কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেয়। এমনই একটি প্রকল্প হলো ডিপিডিসি, পিডিবি, ডেসকো, আরইবি ও নেসকোর অ্যাডভান্স মিটারিং, মিটার স্থাপন, বিলিং ও নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি-সংক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।

একইভাবে পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কোম্পানি বিদেশি দুটি কোম্পানির সঙ্গে একটি এলপিজি প্রকল্পের কাজ পায়। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ আছে, পাওয়ারকোর প্রধান শেয়ারধারী কামরুজ্জামান চৌধুরী সম্পর্কে নসরুল হামিদের মামা।

এই বিভাগের আরও খবর
পৃথিবীর শান্তি মানবতা ধ্বংসে ইসরায়েল
পৃথিবীর শান্তি মানবতা ধ্বংসে ইসরায়েল
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গল টেস্ট ড্র
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গল টেস্ট ড্র
স্বর্ণ কারিগরকে হত্যার পর বেঁধে রাখা হলো গাছে
স্বর্ণ কারিগরকে হত্যার পর বেঁধে রাখা হলো গাছে
ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ চীন পাকিস্তান
ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ চীন পাকিস্তান
কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি নন-এমপিও শিক্ষকদের
কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি নন-এমপিও শিক্ষকদের
অর্থ মন্ত্রণালয়ে আজ ব্লকেড কর্মসূচি
অর্থ মন্ত্রণালয়ে আজ ব্লকেড কর্মসূচি
আগে নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে
আগে নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে
ফ্যাসিস্টদের টাকা লুট প্রমাণ হয়ে গেছে
ফ্যাসিস্টদের টাকা লুট প্রমাণ হয়ে গেছে
বোমা ফাটালেন বিল ক্লিনটন
বোমা ফাটালেন বিল ক্লিনটন
বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় : সিইসি
সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় : সিইসি
ধরাছোঁয়ার বাইরে তিন গভর্নর
ধরাছোঁয়ার বাইরে তিন গভর্নর
সর্বশেষ খবর
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে অনেকেরই গা জ্বলতেছে: শামা ওবায়েদ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে অনেকেরই গা জ্বলতেছে: শামা ওবায়েদ

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ক্লাব বিশ্বকাপে টানা দুই জয়ে নকআউটে বায়ার্ন
ক্লাব বিশ্বকাপে টানা দুই জয়ে নকআউটে বায়ার্ন

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অবসরবেলায় ম্যাথিউসের আবেগঘন বার্তা
অবসরবেলায় ম্যাথিউসের আবেগঘন বার্তা

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি
সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ক্লিনিক ঘেরাও
অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ক্লিনিক ঘেরাও

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলে ইরানের ৮ হামলা
২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলে ইরানের ৮ হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় করতোয়া নদী সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন
বগুড়ায় করতোয়া নদী সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা
গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের মনোনয়নে গুরুত্ব পাবেন ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতারা : খোকন
নির্বাচনের মনোনয়নে গুরুত্ব পাবেন ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতারা : খোকন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাবিপ্রবি ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, দুই শিক্ষার্থী গ্রেফতার
শাবিপ্রবি ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, দুই শিক্ষার্থী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ আনন্দ উৎসব
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ আনন্দ উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বগুড়ায় জামায়াতের রুকন সম্মেলন
বগুড়ায় জামায়াতের রুকন সম্মেলন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ব্রিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রকে হুথির নতুন হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে হুথির নতুন হুঁশিয়ারি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সিগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
মুন্সিগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে দুই শতাধিক রোগীর
বিনামূল্যে চিকিৎসা
বাগেরহাটে দুই শতাধিক রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পর্যাপ্ত সময় পেলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো : শান্ত
পর্যাপ্ত সময় পেলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো : শান্ত

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরায়েল : হেফাজতে ইসলাম
পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরায়েল : হেফাজতে ইসলাম

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকাস্থ বৃহত্তর বগুড়া সমিতির নির্বাচনে পাভেল-মোশাররফ প্যানেল জয়ী
ঢাকাস্থ বৃহত্তর বগুড়া সমিতির নির্বাচনে পাভেল-মোশাররফ প্যানেল জয়ী

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুষ্টিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
কুষ্টিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সিদ্ধিরগঞ্জে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদারীপুরে সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি সভা ও মতবিনিময় সভা
মাদারীপুরে সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি সভা ও মতবিনিময় সভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামী শক্তির ঐক্য অপরিহার্য: মামুনুল হক
ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামী শক্তির ঐক্য অপরিহার্য: মামুনুল হক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে ইসি
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে ইসি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুরে মদসহ গ্রেফতার ২
গাজীপুরে মদসহ গ্রেফতার ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দশম পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো ইরান
দশম পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডাকাতি মামলায় দম্পতি গ্রেফতার
ডাকাতি মামলায় দম্পতি গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে : তুলসি গ্যাবার্ড
ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে : তুলসি গ্যাবার্ড

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় টিকে থাকার ‘খায়েশ’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ক্লিনটনের
নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় টিকে থাকার ‘খায়েশ’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ক্লিনটনের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরানে ভূকম্পনের কারণ গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা?
সত্যিই কি ইরানে ভূকম্পনের কারণ গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, মধ্য ইসরায়েলে ব্যাপক বিস্ফোরণ
ইরান থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, মধ্য ইসরায়েলে ব্যাপক বিস্ফোরণ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে কেন এতো ভারতীয়, কী করেন তারা
ইসরায়েলে কেন এতো ভারতীয়, কী করেন তারা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তের ‘আকাশে সন্দেহজনক বস্তু’ নিয়ে আতঙ্ক, ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের
সীমান্তের ‘আকাশে সন্দেহজনক বস্তু’ নিয়ে আতঙ্ক, ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলার নেতৃত্বে ড্রোন: আইআরজিসি
ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলার নেতৃত্বে ড্রোন: আইআরজিসি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী মাস থেকে ৩৩ লাখ শিশু পাবে দুপুরের খাবার
আগামী মাস থেকে ৩৩ লাখ শিশু পাবে দুপুরের খাবার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বে কার কাছে কত পরমাণু অস্ত্র আছে?
বিশ্বে কার কাছে কত পরমাণু অস্ত্র আছে?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘জয় ইরানেরই হবে’
‌‘জয় ইরানেরই হবে’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ কমছে, ইসরায়েলি দাবি প্রত্যাখ্যান করল তেহরান
ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ কমছে, ইসরায়েলি দাবি প্রত্যাখ্যান করল তেহরান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে'
'ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে'

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোড়া সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় শান্ত
জোড়া সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় শান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলিদের প্রস্তুত থাকতে হবে'
'ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলিদের প্রস্তুত থাকতে হবে'

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোসাদের ৫৪ গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল ইরান
মোসাদের ৫৪ গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল ইরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান
ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ল আরও এক ঝাঁক ইরানি ড্রোন
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ল আরও এক ঝাঁক ইরানি ড্রোন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প
ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ‌‘বাস্তব এবং আসন্ন’, ইরানকে কড়া বার্তা ওয়াশিংটনের
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ‌‘বাস্তব এবং আসন্ন’, ইরানকে কড়া বার্তা ওয়াশিংটনের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যার হুমকি, ইরানি ইহুদি-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিন্দা
খামেনিকে হত্যার হুমকি, ইরানি ইহুদি-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র উপায় ইসরায়েলের নিঃশর্ত সমাপ্তি: ইরান
যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র উপায় ইসরায়েলের নিঃশর্ত সমাপ্তি: ইরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানালেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানালেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না, দাবি ফরাসি প্রেসিডেন্টের
ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না, দাবি ফরাসি প্রেসিডেন্টের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রকে হুথির নতুন হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে হুথির নতুন হুঁশিয়ারি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা
গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দশম পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো ইরান
দশম পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আট মাসে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করেছেন বিপু
আট মাসে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করেছেন বিপু

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

চেয়েছিলাম শুধুই লেখক হতে অথচ হয়ে গেলাম নির্মাতা
চেয়েছিলাম শুধুই লেখক হতে অথচ হয়ে গেলাম নির্মাতা

শোবিজ

ধরাছোঁয়ার বাইরে তিন গভর্নর
ধরাছোঁয়ার বাইরে তিন গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

মিথ্যা অভিযোগে ১০ মাস ধরে কারাগারে দিলীপ
মিথ্যা অভিযোগে ১০ মাস ধরে কারাগারে দিলীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ চীন পাকিস্তান
ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ চীন পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সুইস ব্যাংকে কেন আমানতের পাহাড়
সুইস ব্যাংকে কেন আমানতের পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার নেই ক্ষতবিক্ষত সড়ক
সংস্কার নেই ক্ষতবিক্ষত সড়ক

দেশগ্রাম

শঙ্কা কাটেনি সর্বাত্মক যুদ্ধের
শঙ্কা কাটেনি সর্বাত্মক যুদ্ধের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেউই চায় না দুর্নীতি বন্ধ হোক : ফাওজুল
কেউই চায় না দুর্নীতি বন্ধ হোক : ফাওজুল

পেছনের পৃষ্ঠা

বোমা ফাটালেন বিল ক্লিনটন
বোমা ফাটালেন বিল ক্লিনটন

প্রথম পৃষ্ঠা

অস্ত্র-গুলিসহ ডাকাত দম্পতি গ্রেপ্তার
অস্ত্র-গুলিসহ ডাকাত দম্পতি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

স্বর্ণ কারিগরকে হত্যার পর বেঁধে রাখা হলো গাছে
স্বর্ণ কারিগরকে হত্যার পর বেঁধে রাখা হলো গাছে

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় : সিইসি
সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় : সিইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গল টেস্ট ড্র
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গল টেস্ট ড্র

প্রথম পৃষ্ঠা

জ্বালানি স্বল্পতার কারণে ভারতে প্লেনের জরুরি অবতরণ
জ্বালানি স্বল্পতার কারণে ভারতে প্লেনের জরুরি অবতরণ

পূর্ব-পশ্চিম

বিপাকে শাহরুখ
বিপাকে শাহরুখ

শোবিজ

খেলনা পিস্তলসহ আটক ছয় ডাকাত
খেলনা পিস্তলসহ আটক ছয় ডাকাত

দেশগ্রাম

পুরো ইউক্রেন আমাদের : পুতিন
পুরো ইউক্রেন আমাদের : পুতিন

পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ও গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের দাবি
ইরান ও গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের দাবি

পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর শান্তি মানবতা ধ্বংসে ইসরায়েল
পৃথিবীর শান্তি মানবতা ধ্বংসে ইসরায়েল

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থ মন্ত্রণালয়ে আজ ব্লকেড কর্মসূচি
অর্থ মন্ত্রণালয়ে আজ ব্লকেড কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি নন-এমপিও শিক্ষকদের
কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি নন-এমপিও শিক্ষকদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বাজবে ট্রেনের হুইসল
বগুড়ায় বাজবে ট্রেনের হুইসল

পেছনের পৃষ্ঠা

পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি পুনর্বহাল করা হবে না : ভারত
পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি পুনর্বহাল করা হবে না : ভারত

পূর্ব-পশ্চিম

আইএইএ প্রধানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ ইরানের
আইএইএ প্রধানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ ইরানের

পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিস্টদের টাকা লুট প্রমাণ হয়ে গেছে
ফ্যাসিস্টদের টাকা লুট প্রমাণ হয়ে গেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আগে নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে
আগে নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ

রকমারি