যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ২০২৬ সালে বাজারে আসতে যাওয়া এক ডলারের স্মারক মুদ্রায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি রাখার খসড়া প্রকাশ পেয়েছে। এই খসড়া নিয়ে ইতোমধ্যেই দেশেবিদেশে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারার ব্র্যান্ডন বিচ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে লিখেছেন, নকল খবর নয়। এই প্রাথমিক খসড়াগুলো সত্য। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০তম জন্মদিন ও প্রেসিডেন্টকে সম্মান জানাতেই এগুলো তৈরি। তিনি আরও বলেন, সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় (শাটডাউন) এখনই বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়, তবে শিগগিরই আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী, সামনের অংশে ট্রাম্পের মুখাবয়বের এক পাশ থাকবে। ওপরে লেখা থাকবে ‘লিবার্টি’ বা ‘স্বাধীনতা’। নিচে লেখা থাকবে ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’। পাশে খোদাই করা থাকবে ১৭৭৬-২০২৬। মুদ্রার পেছনের দিকে দেখা যাবে ২০২৪ সালের বাটলার, পেনসিলভেনিয়া হত্যাচেষ্টার পর ট্রাম্পের মুষ্টিবদ্ধ হাত তোলার দৃশ্য। যার ওপরে লেখা থাকবে ‘ফাইট ফাইট ফাইট’। আর ট্রাম্পের পেছনে উড়বে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনো জীবিত বা সদ্য মৃত প্রেসিডেন্টের ছবি মুদ্রায় ব্যবহার করা অবৈধ।
এ ছাড়া ২০২৬ সালের জন্য ২৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে পাস করা ‘সারকুলেটিং কালেক্টেবল কয়েন রিডিজাইন এক্ট’-এ বলা আছে, ‘কোনো মুদ্রার পেছনের অংশে জীবিত ব্যক্তির কোনো প্রতিকৃতি, বক্ষচিত্র বা মূর্তি ব্যবহার করা যাবে না।’
ট্রেজারি দপ্তরের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ‘১ ডলারের মুদ্রার চূড়ান্ত ডিজাইন এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে এই খসড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে আমাদের অভিপ্রায় প্রকাশ করছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি এই খসড়া দেখেছেন? তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি জানি না তিনি দেখেছেন কি না, তবে নিশ্চিত, দেখলে নিশ্চয়ই পছন্দ করবেন।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার ইতিহাসে একমাত্র জীবিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুদ্রায় স্থান পেয়েছিলেন ৩০তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ। ১৯২৬ সালে এক স্মারক মুদ্রায় নিজের প্রতিকৃতি ব্যবহার করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কুলিজ।