উজানের ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এতে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা।
রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৬ মিটার, যা বিপৎসীমার মাত্র ০.৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সকাল থেকে উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে দুপুর নাগাদ বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসে। এতে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাটে পানি ঢুকে বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চল ও নিম্নভূমির বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষজন এখন বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আট থেকে দশটি চরাঞ্চল, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলার চর গোবর্ধন ও মহিষখোঁচা, আর সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ০.৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/হিমেল