দেশের আর্থিক খাতে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য সবচেয়ে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি কে হালদার। শুক্রবার রাতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজবীর হাসানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে বিমানবন্দর থানার মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, তাজবীর হাসানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই মো. সুমন মিয়া। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এর আগে শুক্রবার রাতে তুরস্কে যাওয়ার পথে তাজবীরকে আটকের পর গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি তুরস্কসহ আরও একটি দেশের নাগরিকত্ব বা পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকার কথা জানা যায়। তিনি পি কে হালদারের সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকার ১০ শতাংশের শেয়ার হোল্ডার। পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং একাধিক দেশের নাগরিক। সেজন্য আসামিকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদসহ আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সাত দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
তার সঙ্গে থাকা একটি টার্কিশ পাসপোর্ট, ১টি আইফোন ১৭ প্রো-ম্যাক্স, একটি আইফোন ১৫ প্রোর আলামতসমূহ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎই উধাও হয়ে যায় হালট্রিপ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি। তবে জানুয়ারি ২০২০ এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও অন্তত দুটি দেশের (তুরস্ক ও ভানুয়াতু) নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তাজবীর হাসান। এ ছাড়াও তার মাল্টার রেসিডেনসি এবং স্পেনের গোল্ডেন ভিসা রয়েছে।