ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধের ‘মধ্যস্থতা’ থেকে সরে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার দাবি, অনেক চেষ্টার পরেও লাভ হয়নি! যুদ্ধ থামায়নি ইউক্রেন ও রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, এই দুই দেশের মধ্যে আর মধ্যস্থতার কাজ করবে না যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্যামি ব্রুস বলেন- আমরা সারা পৃথিবীতে বৈঠকে মধ্যস্থতা করার জন্য দৌড়ে বেড়াব না।
তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এই দুই দেশ যাতে কোনও চুক্তিতে পৌঁছায়, সেজন্য আমেরিকা বদ্ধপরিকর।
ব্রুস আরও বলেন, ‘এই সংঘাত কীভাবে শেষ হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে দুই দেশকেই। এটা ওই দুই দেশের ওপরই নির্ভর করছে।
এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। তারা দু’জনেই জানিয়েছিলেন- যুদ্ধ থামানোর দায়িত্ব রাশিয়া এবং ইউক্রেনের।
ভান্স সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’-কে বলেন, ‘একটা চুক্তিতে পৌঁছানো এবং এই নির্মম যুদ্ধ থামানোর দায়িত্ব দুই দেশের। এটা খুব শিগগিরই শেষ হবে না।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং দুর্লভ কিছু খনিজ পাবে আমেরিকাও। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের আসার পর থেকেই তার প্রশাসন এই চুক্তি কার্যকর করতে চাইছিল। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে বিপুল আর্থিক সাহায্য করেছে আমেরিকা। এই চুক্তিতে সই করে সেই ‘ঋণের’ কিছুটা অংশ শোধ করবে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। ইউক্রেনের আশা, এর ফলে কিয়েভের কাছে আরও কিছু অস্ত্র বিক্রি করবে আমেরিকা, যা নিয়ে অতীতে বিধিনিষেধ ছিল। তারপরই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে? সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, দ্য সান, দ্য টাইমস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে, ইউরো নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ