পাবনায় অপহরণের নাটক সাজিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য এক মাদ্রসাছাত্রকে অপহরণ করেছে একই মাদ্রাসার অপর ছাত্র। পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণকৃত ছাত্র লামিম আহমেদ ফয়সাল (১১) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণকারী হোসাইন আলীকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত ছাত্র লামিম আহমেদ ফয়সাল (১১) জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের শিক্ষার্থী। সে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চর গড়গরিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ সম্মেলন করেন পাবনা র্যাব-১২ সিপিসি-২-এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি এনামুল হক।
র্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হোসাইন অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। অপহরণের পর ফয়সালের বাবা-দাদার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি করা হয়। র্যাব-১২ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাবনা শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকার একটি তেলপাম্প সংলগ্ন স্থান থেকে ফয়সালকে উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত হোসাইন আলী জানিয়েছে, টাকার লোভেই অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন সে। তার স্মার্টফোনে পাওয়া তথ্যও অপরাধ প্রমাণ হিসেবে র্যাবের হাতে রয়েছে।
ঘটনার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও অভিযুক্তের পরিবার ঘটনার দায় এড়াতে চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। পাবনা সদর থানায় ৩৬৫/৩৮৫ পেনাল কোডে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এর পেছনে কোনো বৃহৎ চক্র কাজ করছে কি না।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে প্রকৃত তথ্য জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম