জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী সেই মণি বেগমের থাকার ঘরটি সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পরিবার নিয়ে মৃত্যুঝুঁকিতে ছিল মণি। খবর পাওয়ার পর মণি বেগমের বসতঘর পরিদর্শন করেছেন কুলাউড়া উপজেলার নতুন নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ গোলাম রাব্বী।
সোমবার রাত ৯টায় ইউএনও মোহাম্মদ গোলাম রাব্বী উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গড়গাঁও গ্রামে অবস্থিত মণি বেগমের বসতঘর পরিদর্শন করেন। তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
পরিদর্শনকালে সফরসঙ্গী কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ ইউএনওর প্রস্তাবে মণি বেগমের ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নেন। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য আব্দুর রউফ এক লাখ টাকা অনুদান দেন।
এছাড়াও ইউএনওর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র মণি বেগমের বাবা মহরম আলীর কাছে দেয়া হয়। পাশাপাশি মণি বেগমের পরিবারকে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন ইউএনও।
মনি বেগম বলেন, গত ৩ জানুয়ারি ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে আমাদের মাটির দেয়ালের বসতঘরটি ভেঙে যায়। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে কাপড় ও বাঁশ দিয়ে আশপাশ ঢেকে কোনো রকম বসবাস করছি। ঘরটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
মণি বেগম বর্তমানে কুলাউড়া উপজেলার স্থানীয় লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজে মানবিক বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।
উল্লেখ্য, মণি বেগম বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে ১৯ জন শিশু প্রতিনিধির মধ্যে জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, বাল্যবিয়ে রোধ, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মা ও শিশুর চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, শিশু নির্যাতন বন্ধসহ শিশুবিষয়ক নানা বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন বিশ্ববাসীর কাছে।
বিডি প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা