ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কবলে পড়ে নাকাল হয়ে পড়েছে ঢাকা-উত্তরাঞ্চগামী যাত্রী ও চালকেরা। মাত্র ২৫ কিলোমিটার যেতে সময় লাগছে ৯-১০ ঘণ্টা। মহাসড়কের চান্দাইকোনা- হাটিকুমরুল-থেকে নলকা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তায় খানা-খন্দের সৃষ্টি ও সংস্কারের কারণে এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। গত তিনদিন ধরে মহাসড়কের হাটিকুমরুল-নলকা, হাটিকমুরুল থেকে চান্দাইকোনা ও হাটিকুমরুল থেকে হরিণচড়া পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
রংপুর-চট্টগ্রামগামী রাকিব এক্সপ্রেসের চালক আব্দুল আজিজ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রংপুর থেকে গাড়ী ছেড়ে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা পৌছার পরই যানজটের কবলে পড়েছি। আর সারা রাত গাড়ি চালিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নলকা মোড়ে এসে পৌঁছেছি। মাত্র ২৫ কিলোমিটার পথ আসতে সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা। তিনি আরো জানান, জীবনে এত দুর্ভোগে কখনো পড়িনি।
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী জেআর পরিবহণের যাত্রী ফারুক ও রবিউল বলেন, জীবনে এত কষ্টদায়ক ভ্রমণ কখনো করিনি। ঢাকা মহানগরেও এত দীর্ঘ যানজটে কখনো পড়িনি।
নলকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জানান, দুদিন ধরেই নলকা ব্রিজের কাছে তীব্র যানজট। আর এ যানজট ছড়িয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের সকল মহাসড়কে। বেশিরভাগ সময়ই লাইনে গাড়িগুলো দাড়িয়ে থাকছে, কখনো কখনো কচ্ছপগতিতে চলছে। যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে আছে ঢাকা-উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহন। এতে আটকা পড়েছে উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য যাত্রী সাধারণ।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী জানান, রাত দুটো পর্যন্ত কাজ করেছি। আজও যানজটের অবস্থা তেমনি রয়েছে। নলকা সেতুর সংস্কার ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর সংস্কার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থার অবসান হবে না। তবে হাইওয়ে থানা, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা ও সলঙ্গা থানা ও ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, নলকা সেতু ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর সংস্কার চলছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। কাজ শেষ হতে আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এ কাজগুলোর তদারকি করছি।
বিডি প্রতিদিন/২৬ জুলাই ২০১৭/হিমেল