সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী তীর সংরক্ষণে নির্মাণাধীন সেই বাঁধে আবারও ধস দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে বাঁধটির বিভিন্ন পয়েন্টে মোট ১১ বার ধস ও ভাঙ্গন দেখা দিল। এতে প্রায় সাত কিলোমিটার বাঁধের এক কিলোমিটার অংশ ধসে গেসে।
বুধবার ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত খাস কাউলিয়া মিয়ার পাড়া এলাকায় বাঁধটির অন্তত ২৫ মিটার এলাকায় ধস নামে। এতে বাঁধের সিসি ব্লক খসে যমুনাগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। বাঁধ নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনেই বার বার ধস নামছে বলে এলাকাবাসীসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযোগ তুলেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে এর মধ্যে ১০ দফায় এ প্রকল্পের বিভিন্ন পয়েন্টে ধস দেখা দেয়। বুধবার ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়াপাড়া এলাকায় বাঁধটির ২৫ মিটার এলাকা ধসে যায়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজন বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদেদুকর রহমান জানান, বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই বার বার ধস নামছে-এমন অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। এজন্য সংবাদ পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।এসময় অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে নির্মাণাধীন বাঁধের নকশায় ত্রুটি থাকার কারনেই বার বার বাঁধ ধসের কবলে পড়ছে বলে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে জানিয়েছেন বলেও জানান সাদেদুকর রহমান।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২ ও ১৬ মে, ৮ ও ২৩ জুন ৩,৭, ১৯, ২০, ২১ সর্বশেষ ২৩ জুলাই এ প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশ ধসে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব