প্রায় ৮০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে নাটোরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল ও নাটোর সুগার মিলের ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উভয় মিল চত্বরে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে ডোঙ্গায় আখ ফেলে অতিথিরা আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করেন।
গত মাড়াই মৌসুমে মিল দুটি প্রায় ৮০ কোটি টাকা লোকসান করে। আগামী মাড়াই মৌসুমেও অনুরূপ লোকসানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করেন।
সুগার মিলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সচিব আরশেদ আলী ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হারেছ উদ্দিন।
অপরদিকে, একই সময়ে নাটোর সুগার মিলে তিন আদর্শ আখ চাষী মকছেদ আলী, খলিলুর রহমান ও রুহুল আমিন হাওলাদার এবং সিনিয়র দুই শ্রমিক আব্দুল জলিল পান্না আনিসুর রহমান মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করেন।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) রাকিবুর রহমান খান জানান, চলতি মৌসুমে দুই লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১৫ হাজার ৪৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২০ মাড়াই দিবসে চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে, নাটোর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ জানান, ২০১৭-১৮ মাড়াই মৌসুমে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নাটোর সুগার মিল।
১০৭ মাড়াই দিবসে চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.৭৫ শতাংশ। দুটি সুগার মিল এলাকাতে তিন শতাধিক অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে গুড় উৎপাদন কার্যক্রম চলমান থাকায় বরাবরের মতো এবারো সুগারমিল দুটি আখের অভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
তবে নাটোর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ জানান, ইতিমধ্যে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারের কার্যক্রম বন্ধে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ১৫ জন চাষীর বিরুদ্ধে মামলা এবং ১০০ জন চাষীকে উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল এলাকাতেও অনুরূপ অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/১৭ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত