ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার উপর দিয়ে চলাচল করে ভারতের সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, নকলা, নালিতাবাড়ি ও শেরপুর জেলার শতশত যানবাহন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর হালুয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা দুইটি স্থল বন্দরের কয়েকশ কয়লার ট্রাক দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে ফুলপুরের কোন বিকল্প নেই। ফলে ফুলপুর সড়কে যানবাহণের মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ায় বর্তমানে মহাসড়ক ভেঙেচুরে ক্ষতবিক্ষত। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খাদের।
এসব খাদে পড়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা তো ঘটছেই। গত কিছু দিন ধরে ফুলপুর পৌর শহরের দিউ বালিয়া মোড়ে ঢাকা-হালুয়াঘাট মহাসড়কের এক পাশ বন্ধ করে সংস্কার কাজ চলছে। বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যানসহ প্রতিনিয়ত হরেক রকমের শতশত যানবাহন চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তার ব্যবস্থা না করে ধীরগতিতে রোড সংস্কার করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ময়মনসিংহ থেকে ফুলপুরের প্রবেশমুখে পড়ে বালিয়া মোড়, আমুয়াকান্দা মোড় ও কলেজ রোড মোড়। এরপর রয়েছে শেরপুর রোড মোড়। এইসব মোড় পার হওয়ার সময় ঢাকা-শেরপুর, ঢাকা-হালুয়াঘাট মহাসড়ক ক্রস করতে এমনিতেই জ্যামের সৃষ্টি হয়। এর সাথে সন্ধ্যার পর যখন কয়লার ট্রাক যোগ হয় তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশেরও বেগ পেতে হয়। এ সময় রোগীসহ যাত্রীদের যেন দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, হয় জরুরি ভিত্তিতে ওই রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে; না হয় বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ (সওজ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, রড সিমেন্টের ক্রাইসিস ছিল। এখন অনেকটা সোলভ হয়েছে। ভাইটকান্দিসহ সব কাজই শিগগিরই হয়ে যাবে।
খাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, একজন দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে যতটুকু সম্ভব, আমি তা করব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার