বন্দর নগরীর সদর থানা ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা নিয়ে গঠিত খুলনা-২ আসনে এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন তিন শীর্ষ নেতা। তারা হলেন- মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপি বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। এ ছাড়া জামায়াত থেকে প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে খুলনা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুফতি আমানুল্লাহ। এ আসনে ২০০১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করে বিজয়ী হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী আসনটিতে জয় পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির চরম দুর্দিনে এ অঞ্চলের সবগুলো আসন হারালেও খুলনা-২-এ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা আসনটিতে জয় পায়।
রাজনৈতিক-সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় ও গণসংযোগ করছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা। অপরদিকে জামায়াতের অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার লাগিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি সরাসরি নির্বাচনি তৎপরতা শুরু করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনের মাঠে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ছাড়া আর কারও দেখা মিলছে না। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৪ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯২১, নারী ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৬ ও হিজড়া ভোটার সাতজন।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুলনা শহরে জনগণের জন্য ৪৭ বছর ধরে কাজ করেছি। সেজন্য আমি নির্বাচন করতে চাই। আমি নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমার দল চাচ্ছে ক্লিন ইমেজের মানুষ, জনপ্রিয় মানুষ। এ ক্ষেত্রে আমি একজন পরীক্ষিত প্রার্থী। অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি প্রস্তুত আছি। অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তার হয়ে কাজ করব। শফিকুল আলম তুহিন বলেন, খুলনার আঞ্চলিক দাবি আদায়ের সংগ্রামে মানুষের পাশে থেকেছি। আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থিতা সময়ের দাবি বলে মনে করছি। জামায়াতের প্রার্র্থী অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, প্রার্থিতা ঘোষণার পর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা নির্বাচনি গণসংযোগ করছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলা, সাংগঠনিক কার্যক্রম মজবুত করা এবং সংগঠনকে গতিশীল করছি।