বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। জেলার ধুনট উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোটরসাইকেল ও পিকআপের সংঘর্ষে ওমর ফারুক (৩৫) নামের পোশাক শ্রমিক নিহত এবং বগুড়া শহরের তিনমাথায় একইদিন দুপুরে ট্রেনের ধাক্কায় কলেজছাত্র আশরাফুল ইসলাম নিহত হন।
জানা যায়, ওমর ফারুক ভালুকার মাওনা এলাকার টি-ডিজাইন নামের একটি সুয়েটার কোম্পানীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ছুটি নিয়ে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের পুকুরিয়া নিজ গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পার্শ্ববর্তী ঢেকুরিয়া গ্রামের বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর গ্রামে পৌঁছালে একটি পিকআপের সাথে ওমর ফারুকের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওমর ফারুক মারা যায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী শাপলা খাতুন (২৮) ও কন্যা নুপুর আকতার (৫) আহত হয়েছে। নিহত ফারুক ধুনটের ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের পুকুরিয়া আব্দুস সোবহান মন্ডলের ছেলে।
বগুড়ার ধুনট থানার এসআই খোকন কুমার কুন্ডু জানান, মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওমর ফারুক নামের এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন পিকআপটি আটক করেছেন। তবে চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া জেলা শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কলেজছাত্র আশরাফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। আশরাফুল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ধোপাডাঙা গ্রামের নবাব আলীর ছেলে। তিনি সোনাতলা সৈয়দ আহমদ কলেজের এইচএসসি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
বগুড়া শহরের ছিলিমপুর টাউন ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ মন্ডল জানান, দুপুরে আশরাফুল তিনমাথা রেলগেট এলাকায় রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি মালবাহী ট্রেন তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন