তিস্তা ও ধরলার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা তারা পাননি।
তিস্তা ও ধরলার পানি কমলেও জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের চর এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। চর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। এখনও পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে কোনো খাবার বিতরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বন্যার্তরা।
জেলার সদর উপজেলার রাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ১০/১২ দিন থেকে এ ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি থাকলেও কোনো ত্রাণ দেওয়া হয়নি। কবে ত্রাণ দেওয়া হবে তাও আমরা জানতে পারছি না।
ত্রাণ বিতরন না হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, বরাদ্দ এসেছে শিগগিরই ত্রাণ বিতরন শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম