বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মারপিট ও গুলিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতা নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী ওই এলাকার আবির শেখের ছেলে (৫৩) এবং ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শেখ শুকুর আলী (৪৫) মোড়েলগঞ্জের জোকা গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে।
হামলায় তাঁতি লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বাবুল শেখ গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী বাজারে আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দৈবজ্ঞহাটী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ফকিরকে আটক করেছে।
গুরুত্বর আহত তাঁতি লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বাবুল শেখ বাগেরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, বিকালে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী বাজার এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আনসার, শুকুরসহ তাকে ধরে এনে তাদের 'বোরখা পরিয়ে' ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে গুলি করে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকির ও তার লোকজন এই ঘটনার নেতৃত্ব দেয়। এভাবে ইউপি চেয়ারম্যানের টর্চার সেলে আধা ঘণ্টা নির্যাতন চলে। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শেখ রিয়াদুজ্জামান যুবলীগ নেতা শুকুরকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এদিকে, আহত আনসার আলী ও বাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আনসারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এবং এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বাগেরহাট শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময়ে হতাহতদের সমর্থকদের হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের ভাগ্নে মিল্টন খাঁন (৪০) আহত হন। সন্ধ্যায় উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল হক জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দৈবজ্ঞহাটীতে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরকে আটক করা হয়েছে এবং বাকিদের আটকে এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাশপাশি ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত