সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আটকের পর হ্যান্ডকাপসহ পুলিশের কাছ থেকে জোরপূর্বক উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক রিপন কুমার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উপজেলা জামায়াতের সাধাণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকাসহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চরপাড়া গ্রাম থেকে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জনকে আটক করেছে। তবে ছিনিয়ে নেওয়া জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
আটককৃতরা হলো- উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি চরপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৬), সোলাইমান আলীর ছেলে আফজাল হোসেন (৩৬), মৃত বাহাদুর আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৬) ও একই গ্রামের গোলাম মওলার ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৫), ও তাড়াশ উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে সুরুজ মিয়া (৩৫)।
এদিকে, গ্রেফতার আতঙ্কে চরপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান কউশিক আহমেদ জানান, আটকৃতরা প্রত্যেকেই এজাহারভুক্ত আসামি। দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী জানান, পুলিশের কাছ থেকে মামলাভুক্ত আসামিকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। পলাতক জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদসহ অন্যানস্য আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে চরপাড়া গ্রামের একটি অনুষ্ঠান থেকে জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আজাদকে উল্লাপাড়া থানার এসআই রিপন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করে হ্যান্ডকাপ পড়ায়। হ্যান্ডকাপ পড়াবস্থায় তাকে গাড়িতে তুলতে গেলে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াত নেতার স্বজন সাইফুল ইসলাম খোকাসহ আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকর্মী ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে ঘিরে ধরে। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জামায়াত নেতা আজাদকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার