ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময়কালে ভিক্ষুক জমিরন বিবি জানান, তার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। ছেলেরা সবাই থাকেন ঢাকায়। নিজের জমি বলতে কিছুই নেই। অন্যের জমিতে বসবাস করেন। পেটের দায়ে তিনি ভিক্ষা করেন বলেও তিনি জানান।
রাফিয়া বেগমের নামের আরেক ভিক্ষুক বলেন, বছর ত্রিশেক আগে তার স্বামী মারা যায়। ছেলে সন্তান না থাকায় প্রতিবেশি এক ভাতিজার জমিতে বাস করি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধ মহিলাটি কথাগুলো ঠিক করে বলতেও পারছিল না।
এক সময়ের কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের তুখার দফাদার ছিলেন কাশেম মিয়া। তার ছেলেও এখন ওই পরিষদের গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে আছেন। গ্রাম পুলিশের চাকরি শেষ হবার পর বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই মানুষটির আর আয়ের কোন পথ না থাকায় সে বেছে নিয়েছেন এই ভিক্ষাবৃত্তি ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিরামপুর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ও পুর্নবাসন করতে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুর রহমান।
বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়ন হল রুমে ইউনিয়নের ২৯ জন ভিক্ষুক ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বিরামপুর শাখার উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. তৌহিদুর রহমান জানান, বিরামপুরকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে তাদের পূর্নবাসনের কোন বিকল্প নেই। এই কাজে সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নই, সামাজের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, তাদের পূর্ণবাসনের লক্ষে কাউকে বিধবা ভাতা, কাউকে ভিজিএফ, কাউকে, ভিজিডি, আবার কাউকে ১০ টাকা কেজি চালের, এবং কার্ডের আওতায় আনা হবে।আর যাদের ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের ভ্যান গাড়ি ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান। তকে এটা করতে একটু সময় লাগবে।
সভায় স্থানীয় কাটলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্ময়কারী উপজেলা কো-অডিনেটর বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল,ফিল্ড সুপার ভাইজার ধনঞ্জয় চন্দ্র রায়,মাঠ সহকারী সুদেব চন্দ্র রায়সহ কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেনসহ সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার