কিশোরগঞ্জে যুবলীগ নেতা এ কে এম ইউসুফ মনি (৩৮) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রকিব (২৭) গুলিতে আহত হয়েছেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশি পাহাড়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ২ টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পুলেরঘাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রকিব কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকার আবু তাহের ওরফে মাইক তাহেরের ছেলে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রকিবসহ তার সহযোগীরা কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পুলেরঘাট বাজারের কাছে একটি ভাঙাড়ি দোকানের সামনে জড়ো হয়েছিল। পরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। রকিব গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে। পরে তার সহযোগীরা একটি মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি রিভলবার, দুটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয় বলে ওসি জানান।
গুলিবিদ্ধ রকিবকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রকিব যুবলীগ নেতা ইউসুফ মনি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৪ নং আসামি এবং তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আরো সাতটি মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে শহরের রথখলা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা ইউসুফ মনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় মনির ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন