সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর নুরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে দফতরি পদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে অবহিত করা হলেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
অভিযোগ উঠেছে, অসাধু কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে এ কাজটি করেছেন। এতে চাকরি বঞ্চিত অন্যান্য প্রার্থীসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবিলম্বে তদন্তপূর্বক ওই দফতরিকে চাকরিচ্যুতসহ শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলার চরনুরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে দফতরি কাম নৈশপ্রহরী পদের জন্য ৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে চরনুরনগর গ্রামের মৃত হাসান সেখের ছেলে আল মামুন সম্রাট পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া অলিপুর আমডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ নিয়োগ বোর্ডেও সদস্যদের অবহিত করা হয়। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা তোয়াক্কা না করে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে জাল সার্টিফিকেটে তাকে চাকরিতে নিয়োগ দেন।
এ বিষয়ে অলিপুর আমডাঙ্গা স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আল মামুন সম্রাট নামে কোনো ছাত্র আমার স্কুলে লেখাপড়া করেনি। আমার স্বাক্ষর করা কোনো সার্টিফিকেট যদি জমা দেয়া হয় তবে নিশ্চিত সেটি জাল-ভুয়া। জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকরি প্রার্থীকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
নিয়োগ বোর্ডে সদস্য ও চর নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান, সার্টিফিকেট জাল হওয়ায় আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু সরকারি নিয়োগ কর্মকর্তা তোয়াক্কা না করে চাকরি দিয়েছেন।
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সার্টিফিকেটটি প্রাথমিকভাবে সঠিক মনে হওয়ায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে জাল প্রমাণিত হলে চাকরি বাতিল করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম