‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙ্গিন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী। আজ রবিবার সকালে এ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌরসভা চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি শহীদ এম. আব্দুল আলী মঞ্চে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এসময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে হরেক রকম সাজে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এতে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নুজরুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির, রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধাপক ডা. টিপু সুলতান, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাসাদ্দুক হোসেন কবির, রাঙামাটি জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. দিদারুল ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমীন উপস্থিত ছিলেন।
এসভায় বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শকে দারণ করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে পাহাড়ও। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন্ বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাই দেশে এখন উন্নয়ণের র্শীষের পথযাত্রী। সরকারের এ উন্নয়নের ধারাবাহিতা অব্যাহত রাখতে হলে, সবাইকে ঐক্য শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করতে হবে।
তারা আরও বলেন, একটা সময় পাহাড়ের মানুষ উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখতো না। কারণ পাহাড়ের বাইরে গিয়ে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করার মত অনেকের সামর্থ ছিল না। কিন্তু বর্তমান সরকারের কারণে পাহাড়ের ছেলে-মেয়েরা ঘরে বসে উচ্চশিক্ষা লাভ করছে। এছাড়া পার্বত্যাঞ্চলে কোটার মাধ্যমেও সুবিধা বঞ্চিত জাতিগোষ্ঠীরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। এটা পার্বত্যবাসীর জন্য বিরাট অর্জন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশু সমাবেশ, কেক কাটা, চিত্রাংকণ, রচনা প্রতিযোগিতার পুরুষ্কার বিতরসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী পালিত হয় দিবসটি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার