শেষ পর্যন্ত ভৈরব নদের যশোর শহর অংশ থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা এলাকা থেকে এ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
যশোর অঞ্চলের দীর্ঘতম নদ ভৈরব খনন ও নদের জায়গা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে যশোরবাসী আন্দোলন করে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরব নদ খননের প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে একনেকের সভায় ২২৯ কোটি টাকার ‘ভৈরব রিভার বেসিন এলাকায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প’ একটি প্রকল্প পাশ হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় খনন কাজ। কিন্তু নদের শহর অংশের বেশিরভাগই স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় এ অংশ খননের জন্য কোন ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ অংশ খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চারবার দরপত্র আহ্বান করলেও তাকে তাতে কোন ঠিকাদারাই অংশ নেননি। সে কারণে এই অংশ থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। আগে নদের দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ভৈরব নদের যশোর শহর অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। সিএস খাস অবস্থান অনুযায়ী নদের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শহরের কাঠেরপুল এলাকা থেকে বকুলতলা পর্যন্ত নদের জায়গার মধ্যে ৮৪টি স্থাপনা পড়েছে। প্রথম পর্যায়ে এগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে শহরের কাঠেরপুল থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত নদের দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ভৈরব নদের যশোর শহর অংশের বেশিরভাগ জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে দোকানপাট ও ভবন তৈরি করেছিল। সে কারণে এ অংশ থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করার কাজটাও ছিল চ্যালেঞ্জিং। নদীর জায়গা উদ্ধারের সেই কাজটাই এখন করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা