কুমিল্লার দেবিদ্বারে মুখে গামছা পেঁচিয়ে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম মাহফুজুর রহমানকে (২১) আজ কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে মাহফুজ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, অভিযুক্ত ইমাম ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে শুক্রবার উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে 'ইমামের ঘরে' নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জোরপূর্বক গামছা দিয়ে মুখ পেঁচিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের মো. সাইদুল ইসলামের ছেলে। তিনি দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভ্যান চালক বাবা অভিযুক্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে আসামি করে দেবিদ্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ওই ইমাম প্রায় আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্ব পাশে থাকার রুমে নিয়ে গিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ করে বর্তমানে আর লেখা পড়া করে না। সে বাড়িতেই থাকে। পরে ওই কিশোরী বাড়ি যেয়ে তার মায়ের কাছে গোপানাঙ্গে রক্তপাতের কথা বললে তিনি মেয়ের বাবাকে জানান। পরে তিনি দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযুক্ত ইমামকে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেফতার করে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল