চাল কিনে বাসায় ফিরতে পারলেন না বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুব আলাম শাহীন। তিনি দোকান থেকে ভাতের এবং পোলাউর চাল কিনে তার প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নেন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। এমন সময় সদরের নুনগোলা ইউপি চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিন তাকে ডাক দেন। তিনি রাস্তা পার হয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলছিলেন। আর এই সময়ই দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালায়। প্রথমে ছুরিকাঘাত এবং পরে কুপিয়ে খুন করে অ্যাডভোকেট শাহীনকে।
এদিকে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পেরেছে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আধাঘণ্টা আগে থেকে ৫-৭ জন যুবক ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে তথ্য দিয়েছে।
রবিবার রাত সাড়ে ১০ টা থেকে পৌনে ১১ টার মধ্যে বগুড়ার উপশহর বাজার এলাকায় ১০ তলা ভবনের সামনে দুর্বৃত্তরা অ্যাডভোকেট শাহীনকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে খুন করে। রাত ১২ টার পর বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা সহ জেলার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অ্যাডভোকেট শাহীন রাত ১০ টার দিকে নিজেই প্রাইভেট কার চালিয়ে উপশহর বাজার এলাকায় আসেন। এরপর তিনি একটি চালের দোকানের সামনে প্রাইভেট কার রেখে সেখান থেকে চাল কিনে চালের বস্তা প্রাইভেট কারের পিছনে উঠিয়ে রাখেন।
এরপর ১০তলা ভবনের পার্শ্বে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে সদরের নুনগোলা ইউপি চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিনের সাথে গল্প করছিলেন। এমন সময় পিছন থেকে ৫-৭ জন যুবক অর্তিকত হামলা চালিয়ে তার বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। অ্যাডভোকেট শাহীনও সামন্য দৌড়ে গিয়ে রাস্তার উপর পড়ে যায়। দুর্বৃত্তরা সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পশ্চিম দিকের রাস্ত দিয়ে দৌড়ে নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার দিকে পালিয়ে যায়।
পরে ইব্রাহীম নামের এক যুবক অ্যাডভোকেট শাহীনকে উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে অ্যাডভোকেট শাহীন খুন হওয়ার খবর পেয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন গভীর রাতে হাসপাতালে ছুটে যান। নেতৃবৃন্দ এই খুনের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেন।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, খুনের সাথে জড়িতদের সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন