কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়িঘেরের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আবদুল হামিদ (৩৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। নিহত আবদুল হামিদ একই এলাকার আহমদ হোছনের ছেলে।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশে খবর দিলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় চিংড়িঘেরের আধিপত্য নিয়ে আবদুস সালাম ও বাহাদুর গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়। কিন্তু তখন এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবদুস সালাম গ্রুপের ১০-১২ জন সশস্ত্র লোক বাহাদুর গ্রুপের সদস্য আবদুল হামিদের ঘরে ঢুকে তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়।
নিহত আবদুল হামিদের স্ত্রী জোহরা বেগম বলেন, আমার স্বামী কোন গ্রুপের সাথে জড়িত নয়। সে কাঁকড়া ব্যবসা করে কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিংড়িঘের থেকে ঘরে আসার পরপরই সালাম বাহিনীর প্রধান আবদুস সালাম ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড এমরানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে ও হাতে কুপিয়ে জখম করে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দুইদল সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে চিংড়িঘেরের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত হামিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক