বগুড়ার গাবতলীতে কলা ক্ষেত থেকে সিরাজুল ইসলাম (৩৫) নামের অটো ভ্যান চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের মা রুলি বেওয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে, নিহত সিরাজুলের ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফর সম্পন্ন করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজাউদৌলা সুজা গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বামুনিয়া পোদ্দার পাড়া গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই বাবু, মোকছেদ, মোকলেছার ও মোস্তাফিজারদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উভয় পক্ষের আদালতে মামলাও রয়েছে। জমির এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকালে সিরাজুলের সঙ্গে বাবু গংদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সিরাজুলকে মারার জন্য ধাওয়া করে তার চাচাতো ভাইয়েরা। এ সময় সিরাজুল অটো ভ্যান নিয়ে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওইদিন রাত প্রায় ৮টায় সিরাজুল বামুনিয়া থেকে কাগইলের দিকে যান। তারপর থেকে সিরাজুল আর বাড়ী ফেরেননি। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রাম্য পুলিশসহ স্থানীয়রা তেলকুপি তিনমাথা মোড়ের পূর্ব পাশের একটি কলা ক্ষেতে সিরাজুলের গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বামুনিয়া গ্রামের লাল মিয়া মোল্লার ছেলে মোকছেদ মোল্লা (৩৫), আফসার আলী মোল্লার ছেলে দুলাল (৪০) এবং লাল মিয়া মোল্লার জামাই সাইফুল ইসলাম (৪৫)।
বগুড়ার গাবতলী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুন, ২০১৯/মাহবুব