নারী কেলেঙ্কারিসহ ২২টি অভিযোগে অভিযুক্ত বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলামের স্থায়ী অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী সচেতন নাগরিক ফোরামের ব্যানারে কলেজ প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা, কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য লতিফ হাওলাদারসহ স্থানীয়রা বক্তৃতা করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা স্বেচ্ছাচারীতা, দুর্নীতি এবং নারী কেলেঙ্কারিসহ ২২টি অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মিজানের স্থায়ী অপসারণ দাবি করেন। সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষকে আর কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাইশারীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রসঙ্গত, নৈতিক স্খলনের অভিযোগে অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলামকে গত ৭ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। ওই দিন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানার সভাপতিত্বে পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সাথে পরবর্তী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তাকে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কারণ দর্শনোর নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
মাওলাদ হোসেন সানা জানান, অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুলের সাথে অন্য একটি কলেজের নারী লাইব্রেরিয়ানের অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এছাড়াও ২২টি অভিযোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দেয়া হয়েছে। ওই নোটিশ পাওয়ার পর অধ্যক্ষকে তিন দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো জবাব না দেওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখন তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবি উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন