৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১১:২৯

শীতের শুরুতেই পঞ্চগড়ে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

শীতের শুরুতেই পঞ্চগড়ে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

সংগৃহীত ছবি

সুদীর্ঘকাল ধরে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত  জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ সকালে এককাপ চায়ের উষ্ণতা নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করে আসছে। 

শরৎ, হেমন্ত আর শীত কালেই দেখা মেলে এই মহাশুভ্র নায়কের। খুব ভোরে জেগে ওঠে সে। আস্তে আস্তে নিজেকে মেলে ধরে। তারপর অপার সৌন্দর্য্যের বিস্তৃতি ঘটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মনে হয় হাসছে হিমালয়। 

এক শক্তিমান প্রতিভূর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ লুকিয়ে পড়ে মেঘের আচলে। বাতাশে উড়তে উড়তে মেঘ সরে গেলে আবার জেগে ওঠে। এ যেন লুকোচুরির খেলা। লুকোচুরির খেলায় দর্শকেরাও যোগ দেয়। চোখের পলক নামে না তাদের ।

কাঞ্চনজঙ্ঘাকে বলা হয় সুপেয় পানির ঠিকানা। বরফের এই পাহাড় থেকে নেমে এসেছে চারটি নদী। এই নদীগুলোর জলের ধারা এসেছে পঞ্চগড়েও। এমন সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসছেন পর্যটকরা।

তবে সবসময় দেখা মেলে না সাদা শুভ্র এই পাহাড়ের। মেঘ আর কুয়াশা মাঝে মাঝেই আড়াল করে রাখে তাকে। তখন অপেক্ষা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। এ জন্য অনেকে বলে থাকেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য কপালও লাগে।

পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয়ের কন্যা। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব আশি কিলোমিটারের বেশি নয়। এমন সংবাদে কেউ বেড়াতে এলে কপাল ঘষে আর ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েই যাত্রা শুরু করবেন। তবে হাতে খুব বেশি সময় নেই। কাঞ্চনবাবুকে দেখতে হলে এখনই নেমে পড়ুন। যাত্রা শুভ হোক।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর