-(1).jpg)
নরসিংদীতে টেঁটা প্রদর্শন করলেই তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পৈশাচিক উপায়ে মানুষকে হত্যা বা আহত করা থেকে বিরত রাখতে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুর রুখতে টেঁটা উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে জেলা পুলিশ। অভিযানে ৫ শত টেঁটা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ জনকে আটক করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে সকালে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, এক সময় এই টেঁটা দিয়ে মাছ ধরা হতো। এখন মানুষ হত্যা করা হয়। টেঁটা যুদ্ধা বা টেঁটা দিয়ে মানুষকে আঘাত করার দৃশ্যটা কতটা অমানবিক তা প্রত্যক্ষ না করলে বোঝার কোন উপায় নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা আধুনিক যুগে বসবাস করছি। আমাদের চরাঞ্চলে শিক্ষার হার বেড়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তি হয়েছে। তবে কেন হানাহানি।
জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আলীপুরা গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া ও একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কামাল মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কামাল মেম্বারের লোকজন সকালে ঘুমন্ত মানুষের উপর টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সুপার প্রলয় জোয়ারদারের নির্দেশে পুরো এলাকায় সাঁড়াশি অভিজান চালায় জেলা পুলিশ। দিনভর অভিযান চালিয়ে ৫ শত টেঁটা উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ জনকে আটক করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
