খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অনুষ্ঠিত হল পুষ্টি মেলা এবং পুষ্টিকর খাবার রান্না প্রতিযোগিতা-২০১৯।
দীঘিনালা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে সোমবার এই রান্নার প্রতিযোগিতা এবং পুষ্টি মেলার উদ্বোধন করেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো. কাশেম।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারটান) এর এডিশনাল ডেপুটি ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মিসেস সীমা দেওয়ান ও ‘নিউ্রট্রিশন স্মার্ট ভিলেজ’ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রতন কুমার দে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আনন্দ’র ‘নিউট্রিশন স্মার্ট ভিলেজ’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত মেলার স্টলে চাষকৃত এবং অচাষকৃত পুষ্টিকর শাক-শব্জি, ফল এবং ফল জাতীয় শব্জির প্রদর্শনী দেওয়া হয়।
অপরদিকে, মেলায় গাজরের হালুয়া, নিউটিমিক, লাকি পায়েশ এবং সজনে খিচুরির রান্না প্রতিযোগিতায় ৪০টি গ্রুপে মোট ৮০ জন রাধুনী অংশ নেন।
জার্মানভিত্তিক দাতা সংস্থা ‘জার্মান কো-অপারেশন এবং ওয়েন্টহাঙ্গারহিলফি’র অর্থায়নে ‘নিউট্রিশন স্মার্ট ভিলেজ’ প্রজেক্টের আওতায় খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী এবং মেরুং ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামে ৪০টি পুষ্টি ক্যাম্প করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আনন্দ। প্রতিটি ক্যাম্পে ২৫ জন শিশুর সঙ্গে অবস্থান করেন শিশুর মা। ১৫ দিনের ক্যাম্পে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশুর মা’দের শেখানো হয় পুষ্টিকর খাবার রান্না এবং পরিচয় করানো হয় চাষকৃত পুষ্টিকর শাক-শবজিসহ পাহাড়ে অচাষকৃত ঢেকিশাক, কলার মোচা, থানকুনি শাকসহ স্থানীয় অন্যান্য পুষ্টিকর শাকশবজির সাথে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম