কুষ্টিয়ায় পিটিআই রোডে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বাসার সামনে সংঘটিত ঝটিকা মিছিল থেকে রবিবার ১০ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল তাদের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনই ছিল মাটিকাটা শ্রমিক। রোডের বালু সরানোর কথা বলে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসেন শহর যুবলীগ নেতা সজিবুর রহমান সজীব। সেখানে নিয়ে ওই যুবলীগ নেতা শ্রমিকদের বলেন, সারা দিন কষ্ট করে বালু সরাতে হবে না। তোমরা এক মিনিট মিছিল করলেই পুরো টাকা পেয়ে যাবে। গ্রামের সহজসরল মানুষগুলো তার ফাঁদে পা দিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিলে যোগ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সালাম সর্দার, আলতাফ শেখ, সূর্য শেখ, আলম খান, মোতালেব, ফরিদ ব্যাপারী ও সাইদুর রহমান এবং কুষ্টিয়া সদরের হরিপুর ইউনিয়নের নজিম উদ্দিন ম ল ও আবদুল খালেক।
শ্রমিকদের স্বজনরা জানান, রবিবার সকালে শহরের ছয় রাস্তার মোড় থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি বালি সরানোর কথা বলে ১০ জন শ্রমিককে ৬০০ টাকা হাজিরায় কুষ্টিয়া পিটিআই রোডে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখানে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি শ্রমিকদের বলেন, সারা দিন কষ্ট করা লাগবে না, এখানে দাঁড়ালেই পুরো টাকা পেয়ে যাবেন। সেখানে কয়েকজন একটি ব্যানার নিয়ে শ্রমিকদের পেছনে দাঁড় করিয়ে দেন। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে গেলেও শ্রমিকরা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের ভাড়া করে এনে মিছিলের চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশের তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি লিখেছেন, ‘১ জুন সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন পিটিআই রোডে আওয়ামী লীগের ডামি এমপি মাহবুবুল আলম হানিফের বাসার সামনে ১৫-১৭ জন মিছিল করে। এর মধ্যে ১০ জন ছিল মাটিকাটা শ্রমিক। এ শ্রমিকদের মাটি কাটার কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের বলা হয়, সারা দিন কষ্ট করে মাটিকাটা লাগবে না, তোমরা ১ মিনিট মিছিল করলেই পুরো টাকা পেয়ে যাবা। গ্রামের সহজসরল মানুষগুলো ভাবে, সারা দিন কষ্ট না করে যদি ১ মিনিট মিছিল করে টাকা পাওয়া যায়, তাহলে তো ভালোই, কেউ তো আর দেখছে না।’