মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে ভোলায় ব্যাপকহারে কুকুর টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি প্রথম ধাপে কেবল ভোলা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার সকল কুকুরকে টিকা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে জেলার ৭ উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৯০ হাজার কুকুরকে টিকা দেয়া হবে। আজ এ উপলক্ষে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার ফারজানা খানম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন। এ সময় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার ইন্দ্রজীত কুমার মন্ডল, জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার দীনেশ চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অবহিতকরণ সভায় প্রকল্প কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষে ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তায়ন করা হচ্ছে। এই কমূসূচির আওতায় দেশের সবগুলো জেলাসহ মোট ৬৭টি জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে কুকুরে কামড়ে আক্রান্ত রোগীর আধুনিক চিকিৎসা এবং নিবামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কেন্দ্র ‘সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল’ কুকুরকে টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করার লক্ষে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার