ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র নতুন কমিটির আভাস মিলছে। শহরের পৈরতলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে দলের বিশেষ সাংগঠনিক সভা। ওই সভায় জেলা বিএনপি’র বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া ও কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এমন নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবদুল খালেক, তকদীর হোসেন মো. জসিম, রফিক সিকদার, সালাউদ্দিন শিশির ও শেখ শামীম।
জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, মোট ১২০ নেতাকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল সভায় উপস্থিত হতে। এর মধ্যে ৯৯ জন উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে ১৩ জন ছাড়া বাকী সবাই কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বর্তমান কমিটির বিষয়ে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। সভার শুরুতে ২/১ ছাড়া অধিকাংশ নেতাই গোপনে বক্তব্য রাখার ব্যাপারে মত দেন। এরপরই কেন্দ্রীয় দু’নেতা গোপনে এক এক করে ৮৬ নেতার বক্তব্য শুনেন।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, এটি সাংগঠনিক সভা ছিল। সেখানে বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কেন্দ্রের নেতারা জানতে চেয়েছেন।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভার নেতাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বক্তব্য শুনেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এখন তারা কি করবেন সেটি তাদের ব্যাপার।
এদিকে, ওই সভার পরই কয়েকদিনের মধ্যে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হচ্ছে বলে চাউর হয়। সদর আসনে সংসদ নির্বাচনে দলের প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এবং জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এমরানুর রেজার নেতৃত্বে এই কমিটি হচ্ছে বলে জেলা বিএনপি’র কয়েকজন নেতার মুখে শোনা গেছে।
২০১৫ সালে সম্মেলন হয় জেলা বিএনপি’র। একবছর পর ২০১৬ সালের মে মাসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক ব্যর্থতার বিষয়ে জেলার অনেক নেতাই তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
নামমাত্র সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলে ধরে নেতাদের কেউ কেউ বলেন, জেলায় দলের শীর্ষ দুই নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির বাসাতেই সীমাবদ্ধ ছিল মূলত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। সংগঠন দুর্বল হওয়ার কারণে দলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নামতে পারেননি কখনো। মিছিল শিমরাইলকান্দি এলাকার পাওয়ার হাউজ রোডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। কোনো মিটিং-মিছিল থাকলে ২৫-৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীর দেখা পাওয়া যায় না। এই দৈন্যদশায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতেও বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম