লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর পাড় সংলগ্ন মোল্লারহাট থেকে চমকা বাজার সড়কটি মরণফাঁদেপরিণত হয়েছে। ৬ কি:মি: সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে শিশু বৃদ্ধসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক আহত হওয়ার পাশাপাশি পরিবহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে সড়কটি মেরামতের জন্য আবেদন করলেও কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এই সড়কটির মতই রায়পুর-পাটোয়ারি রাস্তার মাথা থেকে খাসের হাঁট ৯ কি:মি: সড়কটিও বেহাল অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধ সড়কটি হায়দারগঞ্জ হয়ে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চমকা বাজার পর্যন্ত ৫ কি:মি: সড়ক প্রায় ৬ মাস আগে সংস্কার কাজ সমাপ্ত হয়। কিন্তু চমকা বাজার থেকে মোল্লারহাট পর্যন্ত ৬ কি:মি: সড়কটি দীর্ঘ ১৫ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের (উত্তর চরবংশী ও দক্ষিন চরবংশী) প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করছে। এর পাশাপাশি চারটি মাদ্রাসা, তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়, ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করতে হয়। কৃষি সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় হায়দারগঞ্জ ও খাসের হাট বাজারে শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। প্রায় প্রতিদিন শিশু বৃদ্ধসহ শিক্ষার্থীরা মারাত্মক আহত হওয়ার পাশাপাশি ওই গর্তে ছোট বড় যানবাহন দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি করে। এছাড়াও অসুস্থ রোগীদের উপজেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার জানান, সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকমাস আগে ৫ কিলোমিটার সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হয়। বাঁকি ৬ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁচেছে।
এলজিইডি রায়পুর উপজেলা প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ জানান, চমকা বাজার থেকে মোল্লারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এবং খাসের হাট থেকে পাটোয়ারী রাস্তার মাথা ৯ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ফাইল পাঠানো হয়েছে। সহসায় অনুমতি আসলে কাজ শুরু হবে তিনি আশাবাদী।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা