স্পিরিট পানে মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা ৪ জনের লাশের মধ্যে ২ জনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ৩ মাস ২৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। 

এছাড়া বাকি দু’জনের লাশ আগামীকাল উত্তোলন করা হবে বলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রোকনুনজ্জামান খান জানিয়েছেন। 

উত্তোলনের পর লাশ দু’টি যথাযথভাবে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রোকনুনজ্জামান খান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

অপর দু’জন চরকাঁকড়া গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক (৭০), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে রাইটার ওমর ফারুক লিটন (৫০) এর লাশ মঙ্গলবার কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

এর আগে মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নোয়াখালীর আদালত কর্তৃক গত ২৭ নভেম্বর তারিখে স্মারক নং-১০.৫১৮(৩)১ মূলে মৃত দেহগুলো ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮এর ১৭৬(২) ধারা অনুযায়ী কবর থেকে উত্তোলনক্রমে ময়নাতদন্ত সম্পন্নের জন্য আদেশ দিয়েছিলেন। 

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বসুরহাট পৌরসভার “রফিক হোমিও হল” থেকে রেকটিফায়েড স্পিরিট ক্রয় করে (নেশা হিসেবে) পান করে নুরনবী মানিক, ওমর ফারুক লিটন, রবি লাল দে, মোঃ সবুজ, মহিন উদ্দিন ড্রাইভার ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকসহ ৬ জন মৃত্যুবরণ করে।

নুরনবী মানিক ও রবি লাল দে’র লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। অপর ৪ জনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করায় আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ উত্তোলন করার বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ দিয়েছেন। স্পিরিট পানে ৬জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম নোয়াখালী কারাগারে আটক রয়েছেন। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল