দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দুটি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী তিন কিলোমিটার রাস্তায় ইছামতি নদীর উপর তিনটি বাঁশের তৈরি সাঁকোই স্থানীয়দের ভরসা। চিরিরবন্দরের আলোকডিহি ইউনিয়নের তারকাশাহার হাট থেকে সাতনালা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম যেতে তিন কিলোমিটার রাস্তায় তিনটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে দুর্ভোগে পড়েন এলাকার মানুষ। রোগীসহ পণ্য পরিবহনে বিকল্প পথে ৪/৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়।
জানা গেছে, কৃষ্টহরি বাজার ঈদগাহ মাঠের পাশের বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীও ছাড়াও সাধারণ মানুষ পার হন। এই বাঁশের সাঁকোর পাশেই প্রতিদিন কৃষ্টহরি বাজার বসে। এখানে দক্ষিণ আলোকডিহি উচ্চ বিদ্যালয়, এতিমখানাসহ বিভিন্ন মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ কেনাবেচার জন্য এই হাটে আসে। হাটের দিন বেশি দুর্ভোগে পড়েন কৃষকসহ বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা করা মানুষ।
উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছের কৃষক। প্রতিদিন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হয় চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ও সাতনালা ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষ। নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ সাঁকো পারাপার যেমন ভীতিকর, তেমনি খুব কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ।
আলোকডিহি ইউনিয়নের কৃষ্টহরি বাজার এলাকার আব্দুর রউফ বলেন, এখানে ইছামতি নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে আশপাশের বসবাসরত সর্বসাধারণের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাবে। শক্তিশালী হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন